পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সঙ্কটের মধ্যে চোর ও ছিনতাইকারীর উপদ্রব বেড়েছে। নিরিবিলি সড়ক, ফ্লাইওভার, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালের আশপাশের এলাকায় ডাকাতিও বেড়ে গেছে। এমনকি রাস্তায় ভুয়া ডিবির চেকপোস্ট বসিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া রাজধানীতে ‘মলম ও টানা পার্টি’র অত্যাচারও বেড়েই চলছে দিনদিন। তাদের খপ্পর থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না স্বয়ং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। এর মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে জাল টাকার চক্রের সদস্যরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এক কথায় ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীরা যেন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশুর হাটে কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের সময় ক্রেতা বিক্রেতা সকলকে ‘জাল টাকা’র বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। হাটের আয়োজক, ইরাজাদার এবং আইন শৃংখলা বাহিনীতে মানুষকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালাতে হবে এবং অপরাধীরা যাতে ভয় পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিবছরই ঈদ আসার আগে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যায়। এগুলো মৌসুমী অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা ও মর্ডান টেক্যানলজির অভাব রয়েছে। তবে আইন-শৃঙ্খালা বাহিনীর সক্ষমতা ও মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার ইনকিলাবকে বলেন, গ্রেফতার অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সফল অভিযান হয়েছে। এতে ওইসব চক্রের বেশ কয়েকজন চিহিৃত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও গরুর হাটগুলোতে বাড়তি নজরদারি রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের নিয়মিতই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গ্রেফতার করার পর জামিনে বেরিয়ে এসে ফের তারা এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তবে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে এ ধরনের অপরাধ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। জানা গেছে, রাজধানীতে গত তিন বছরে ছিনতাই বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে ঘটনার চেয়ে থানায় অভিযোগ পড়ছে খুবই কম। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পথচারী। এছাড়াও ছিনতাইয়ে জড়িতদের বেশিরভাগই কিশোর, উঠতি তরুণ ও গাড়িচালক বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ জানায়, কিছু ভুক্তভোগী মামলা করেন, থানা-পুলিশ করতে চান না। কোনও থানা যদি ছিনতাইয়ের মামলা না নিতে চায়, তবে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানাতে বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এতে ভুক্তভোগীরা সুবিধা পেয়েছেন এমন নজীর তেমন নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে ছিনতাইয়ের মামলা ছিল ৭৮টি। ২০১৯ সালে ১১৯ ও ২০২০-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭৬টিতে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, পেশাদার অপরাধীদের চিহিৃত করে ডিএমপির প্রত্যেক থানায় ছিনতাইকারীদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এতে ৫ শতাধিক ছিনতাইকারীর নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এমনকি কয়েকজনের মোবাইল নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ অজ্ঞান পার্টি, কেউ মলম পার্টি কেউবা সালাম পার্টির সদস্য। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
সূত্রমতে, ভাটারা, মিরপুর, উত্তরা, শাহবাগ, পুরান ঢাকা এলাকায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি রয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, রাজধানীতে সক্রিয় ছিনতাইকারীদের মূলত ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি চক্র নির্জন অলিগলিতে টার্গেটের সন্ধানে ওতপেতে থাকে। তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে পথচারীদের টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়। এদের কেউ কেউ ছিনতাইয়ের কাজে ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এছাড়া সালাম পার্টি নামে সম্প্রতি একটি অপরাধী গ্রুপকে সক্রিয় দেখা যায়। যারা মূলত রিকশাযাত্রীদের আকস্মিক সালাম দিয়ে জোরপূর্বক রিকশায় উঠে পড়ে। এরপর ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকাপয়সা কেড়ে নেয়। আরেকটি গ্রুপ মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টি নামে পরিচিত। তারা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে মূলত বাসযাত্রীদের অজ্ঞান করে থাকে। থানাভিত্তিক অনুসন্ধান চালিয়ে এ তিন শ্রেণির অপরাধীদেরই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাড্ডা, ভাটারা, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া শাহবাগ, মগবাজার, রমনা পার্ক, মালিবাগ রেলগেট, চাঁনখারপুল, ঢাকা মেডিকেল এলাকা, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, নিউমার্কেট ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। রাজধানীর হাজারীবাগ এবং মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ঢাকা উদ্যান, ফার্মগেট, কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড, গাবতলী এলাকায় খুব ভোরে বা নির্জন রাস্তায় সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শ দেয় পুলিশ। তবে সম্প্রতি হাতিরঝিল, গুলশান-১ নম্বর গোল চক্কর ও বনানী এলাকায়ও ছিনতাই বেড়েছে।
তবে গত বুধবার সদরঘাট ও হাজারীবাগ এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডিএমপির কোতয়ালী জোনাল টিমের এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, সাধারণত বড় কোন উৎসব বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে অজ্ঞান পার্টি, মলমপার্টি এদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাই মহানগর বাসী যাতে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারে এজন্য আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছি।
অপরদিকে, ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মলম অথবা অজ্ঞান পার্টি। তারা বিভিন্ন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে অবস্থান করে অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। শুধু তাই নয়, তাদের খপ্পর থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না স্বয়ং আইন-শৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্যরাও। গত ৪ জুন খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন আবুল কালাম আজাদ নামের পুলিশের এক এএসআই। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে গত বুধবার রাতে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে মলম পার্টি পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক ওষুধ, মলম, দৃষ্টিভ্রম করার টাইগার বাম ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. ফজলুল হক ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমানে ঈদের সময়কে কেন্দ্র করে মলম পার্টির একটি চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা সারা বছর অপরাধ করে গেলেও ঈদকে কেন্দ্র করে তারা নতুন করে আবারও মাঠে নেমেছে। এই চক্রের মেইন টার্গেট থাকে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। তারা এসব যাত্রীর সঙ্গে বাস, রিকশাভ্যান বা সিএনজিতে চলাচলের সময় সাধারণ যাত্রীর পাশাপাশি অবস্থান গ্রহণ করে এবং সুযোগ মতো ওষুধ এবং তরল কেমিক্যাল ও মলম দিয়ে তাদের অজ্ঞান করে বা চোখে দিয়ে সাময়িক অন্ধত্ব বা দৃষ্টিভ্রমের সৃষ্টি করে। ঠিক এই সময়ের মধ্যে তাদের অন্য সহযোগীরা ওই ভুক্তভোগীর কাছ থেকে যাবতীয় সরঞ্জাম, টাকাণ্ডপয়সা, মোবাইল, অলংকার ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
এদিকে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে পশুর হাটগুলো জমে উঠনি। হাট জমে ওঠার আগেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে জালটাকা কারবারিরা। তবে তাদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযানে চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার ও কয়েক লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ভাটারা এলাকা থেকে ৪৩ লাখ জাল টাকাসহ গ্রেফতার আব্দুর রহিম ও ফাতেমা দম্পতিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এছাড়াও জাল টাকার আরেক চক্রের কয়েক সদস্যকে গ্রেফতার পর র্যাব জানায়, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাজারে কোটি টাকার বেশি জাল নোট ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। র্যাব বলছে, এই চক্রটি কোটি টাকারও বেশি জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে। ঈদুল আযহা সামনে রেখে আরও জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। চক্রটি এক লাখ জাল টাকার বান্ডিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলে জানা গেছে।
এছাড়াও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে প্রকাশ্যেই সক্রিয় রয়েছেন ডাকাত দলের সদস্যরা। ওই চক্রের সদস্যরা ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারীদেরও তুলে নেয় ডিবি পরিচয়ে। তাদের আসল পরিচয়, তারা আন্তঃনগর সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। ইতোমধ্যে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, কোরবানির পশুর হাটে আসা ব্যাপারী ও ক্রেতাদের টার্গেট করে ডাকাতির প্রস্তুতি ছিল তাদের। এছাড়া রাস্তায় ভুয়া ডিবির চেকপোস্ট বসিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করতো এই চক্র। তাদের গায়ে থাকত ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, অস্ত্র ও হ্যান্ডকাফ। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যাচ্ছে এমন লোকজনকে টার্গেট করে ডাকাতি করতো।
অবশেষে রাজধানীর বসিলা এলাকা থেকে এ চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, কোরবানির ঈদে রাজধানীতে বড় বড় পাইকাররা আসবেন, বড় বড় হাট বসবে তাদের ধরাই ছিল তাদের মূল টার্গেট। এই টার্গেট ধরে তারা বিভিন্ন জায়গাতে চেকপোস্ট বসিয়েছিল। তারা স্বীকার করেছে ঈদ উপলক্ষে যেসব পাইকার আসবে তাদের ধরবেন। শুধু তাই নয়, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় স্বল্প সময়ের জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির নামে ডাকাতি করত। এছাড়াও টার্গেট করতো ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনকারীদেরও বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে যারা টাকা লেনদেন করবেন তারা যেন পুলিশের সহযোগিতা চান, আর চলাফেরার সময় যেন তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সদস্য নিয়ে চলাচল করেন। আর অযথা অলিগলিতে ডিবির নাম ধারণ করে চেকপোস্ট বসিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আর মনে রাখতে হবে তাদের যেন ভেরিফাই করে, আমাদের যেন অবগত করে ব্যাপারটি। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সর্তকতার সঙ্গে আর্থিক লেনদের পরামর্শও দিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ৫ জুলাই রাসেল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ভোর ৪টার দিকে দুবাই ফেরত এক আত্মীয়কে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে দক্ষিণখানের কাওলার মসজিদ এলাকার বাসায় ফেরেন। তার সঙ্গে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা চলে যাওয়ার পরপরই তার বাসার সামনে সাদা রঙের একটি নম্বরবিহীন গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাসেল উদ্দিনকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ৩৫ হাজার টাকা, একটি আইফোন ও একটি অ্যাপল স্মার্ট ওয়াচ ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এই ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে গত বুধবার রাতে দক্ষিণখান এলাকা থেকেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ধারী এই চক্রের চার সদস্যকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে আইফোন, অ্যাপল স্মার্ট ওয়াচ এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।