Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এরদোগানের নির্বাচনী সাফল্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং তার জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নির্বাচনী সাফল্য ব্রিটিশ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে কাভারেজ পেয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি নিউজ, দ্য স্কাই নিউজ এবং দ্য গার্ডিয়ানে তুর্কি প্রেসিডেন্সিয়াল ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনের বেসরকারি ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।
বিবিসির খবরে এরদোগানকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘তুরস্কের ক্ষমতায় দীর্ঘদিন ধরে অধিষ্ঠিত নেতা রজব তাইয়্যেব এরদোগান প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে প্রথম রাউন্ডে সরাসরি জয়লাভ করেছেন।’ এতে আরো বলা হয়, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে এরদোগান ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী মুহাররম ইঞ্জে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট। দ্য গার্ডিয়ানের খবর বলা হয়, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রজব তাইয়্যেব এরদোগান জয়লাভ করেছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সব ভোট গণণা না হওয়ায় বিরোধীরা পরাজয় স্বীকার করেননি।’
স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, আনফিসিয়াল ফলাফল অনুযায়ী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসাবে এরদোগান পুনরায় ফিরছেন বলে বলে জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, ‘কিন্তু প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৮ জুলাই দ্বিতীয় দফা নির্বাচন এড়ানোর জন্য এরদোগান এখনো প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ পাননি।’
এর আগে রোববার প্রেসিডেন্ট এরদোগান তুরস্কের ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনে তার সাফল্য ঘোষণা করেন। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯৭.৭ শতাংশ ব্যালট গণনা শেষে এরদোগান ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হয়। কোনও প্রার্থী যদি প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়। সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফা নির্বাচনের পনের দিন পর অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় দফা নির্বাচন। যদিও ইতোমধ্যেই পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে গেছেন এরদোগান। তাই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনও প্রয়োজন হবে না। গত বছর অনুষ্ঠিত গণভোটে সাংবিধানিক পরিবর্তনের পক্ষে রায় আসার পর রোববার প্রথমবারের মতো একযোগে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয় তুর্কি জনগণ। ওই গণভোটে দেশের সংসদীয় ব্যবস্থাকে নির্বাহী প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থায় পরিণত করার পক্ষে রায় এসেছিল। নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোগান উল্লেখযোগ্য নির্বাহী ক্ষমতা পাবেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করতে পারবেন তিনি। নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টের মনিটরিং করার ভূমিকাও বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে এরদোগানের হাতে।
২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এরদোগান। ২০১৪ সালেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। তার প্রধান সমর্থক হচ্ছেন রক্ষণশীল এবং ধার্মিক অপেক্ষাকৃত বয়স্ক তুর্কিরা।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ