বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
পর্তুগালের সাবেক কোচ কার্লোস কুইরোজ বর্তমানে ইরান জাতীয় দলের দায়িত্বে। তার অধীনেই এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলছে ইরান। নজরকাড়া পারফরমেন্স না দেখালেও এক জয় ও এক হারে ‘বি’ গ্রæপ থেকে তাদেরও সুযোগ রয়েছে শেষ ষোল’তে খেলার। আর সেই সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে গ্রæপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী পর্তুগালকে হারাতেই হবে ইরানের। যার দু’ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র পেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। আজই মুখোমুখী হচ্ছে ইরান-পর্তুগাল। রাশিয়ার সারানস্ক স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ‘বি’ গ্রæপের এই ম্যাচটি। সাবেক কোচের অধীনে থাকা ইরান দলটির বাঁধা টপকাতে চান পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইরানীদের হারিয়েই নিজেদের শেষ ষোল নিশ্চিত করতে চান তিনি।
খেলোয়াড় হিসেবে রোনালদো ও কোচ কুইরোজ দু’জনই চতুর্থবার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সম্পর্কও বেশ পুরনো। ২০০৩ সালে কিশোর বয়সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর থেকেই কুইরোজের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে রোনালদোর। ৬৫ বছর বয়সি কুইরোজ রিয়াল মাদ্রিদ কোচের দায়িত্ব পালন করার আগে দু’মৗসুম কাটিয়েছেন এ্যালেক্স ফার্গুসনের সহকারী হিসেবে। যেখানে ২০০৯ সালে যোগ দেন রোনালদো। তাকে দলে নিতে তখন ভূমিকা ছিলো কুইরোজের। তবে ওই সম্পর্কে চ্ছেদ ধরে ২০১০ বিশ্বকাপে। যেখানে স্পেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পর্তুগালকে। আর ওই হারের জন্য কুইরোজকেই দোষারোপ করেছিলেন রোনালদো। মরক্কোর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর বর্তমানে উজ্জীবিত রয়েছে পুরো পর্তুগাল দল। তাই ইরান ম্যাচের আগে রোনালদো বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে এই জয়ের ধারা বজায় রেখে গ্রæপে নিজেদের অবস্থানকে আরো সৃমদ্ধ করা। আগে আমাদের সেখানে (নকআউট পর্বে) পৌঁছাতে হবে। এর পর দেখব কি হয়।’
যাদুকরী এই ফুটবল তারকাকে ‘পোর্ট ওয়াইন’ বোতল আখ্যা দিয়ে পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস বলেন, ‘৩৩বছর বয়সেও রোনালদো তার বয়সকে হার মানিয়েছে।’
এর আগে ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে ইরানের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। ২-০ গোলে জয় পাওয়া ওই ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন রোনালদো। আজকের ম্যাচে অসুস্থ মিডফিল্ডার হোয়াও মুতিনহোকে ছাড়াই মাঠে নামতে পারে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। পায়ের সমস্যার কারণে লেফট ব্যাক রাফায়েল গুয়েরেইরোও দলের বাইরে থাকতে পারেন। নকআউট পর্বে পৌঁছাতে হলে এ ম্যাচে ড্র করলেই চলবে পর্তুগালের। নক আউট পর্বে যেতে পারলে সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রাশিয়া অথবা উরুগুয়েকে পেতে পারে তারা।
অন্যদিকে গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোকে ১-০ গোলে হারানোর পর স্পেনের বিপক্ষে একই ব্যবধানে হারে ইরান। তাদেরকে প্রথমবার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে যেতে হলে অবশ্যই পর্তুগালের বিপক্ষে জয় পেতে হবে। আর এ জন্য নাকি প্রস্তুত তারা। কথাটি বলেন ইরানের কোচ কুইরেজ। পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচকে ‘সবচেয়ে আকর্ষনীয় এবং ইরানের হয়ে নিজের সাত বছরের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ম্যাচ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। কুইরোজ বলেন, ‘স্বপ্ন পুরণে আমরা আমাদের প্রচেস্টা অব্যাহত রাখব। আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি কাজটা কঠিন হবে। তবে এখানে আসার আগে যেমনটা বলেছিলাম সহজ কোন কিছুই আমরা আশা করিনা। পর্তুগালের বিপক্ষে এটা হবে আমাদের ম্যাচ পয়েন্ট।’
একই সময় কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়ামে এই গ্রæপের অন্য ম্যাচে স্পেন খেলবে মরক্কোর বিপক্ষে। দু’ম্যাচে তারাও ৪ পয়েন্ট পেয়ে শেষ ষোল’র পথে এগিয়ে রয়েছে। ম্যাচটি ড্র হলেই স্পেন পৌঁছে যাবে নক আউট পর্বে। যদিও অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পেয়ে স্পেনিশরা বড় জয়েরই স্বপ্ন দেখছে।
একই দিন ‘এ’ গ্রæপের দু’টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। সামারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় স্বাগতিক রাশিয়া মুখোমুখী হবে উরুগুয়ের এবং একই সময় ভলগোগ্রাদে সউদী আরব খেলবে মিশরের বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।