বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারা ম্যাচেও আলো ছড়াতে পারেননি লিওনেল মেসি। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ওঠা নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা। দল গ্রপ পর্ব থেকে বিদায় নিলে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে মেসি বিদায় বলে দিতে পারে বলে মনে করেন জাতীয় দলে তার সাবেক সতীর্থ পাবলো জাবালেতা।
আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গত পরশু ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি মেসি। জ্বলে উঠতে পারেননি পরের ম্যাচেও। গ্রæপ পর্ব পোরুনোর সমীকরণ মেলাতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ম্যাচ। রীতিমতো দেয়ালে পিঠ ঠেকার মতো অবস্থা। হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্নে বেশ বড় রকমের ধাক্কা লেগেছে শিবিরে। হারের পরও যে সম্ভাবনা থাকছে না, তাও নয়। কিন্তু আলবিসেলেস্তেদের সেটা ঝুলে থাকবে ভাগ্যের সুঁতোয়। ডি গ্রæপের ম্যাচে নিঝনি নভগোরোদের এই হারে সেটি দুরূহই হবে লিওনেল মেসিদের জন্য। এই হারের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার চাবি আর নিজেদের কাছে রাখতে পারল না দলটি। তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রæপের বাকি দলগুলোর ম্যাচের দিকে।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রæপ থেকে সবার আগে নকআউট পর্বে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। আর্জেন্টিনার আশা বেঁচে আছে। তবে সেক্ষেত্রে মিলতে হবে অনেক সমীকরণ। আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের পয়েন্ট ১ করে। নাইজেরিয়া এখনও পয়েন্ট পায়নি। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিততে তো হবেই, পাশাপাশি গতকাল হওয়া ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার ঈগলদের জয় কামনা করতে হয়েছে মেসিদের। আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও জয়হীন থাকতে হবে আইসদের। আর যদি আইসল্যান্ড জিতেই যায় তাহলে শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে অবশ্যই জিততে হবে। তার সঙ্গে নাইজেরিয়ার বিপক্ষেও বড় ব্যবধানে জিততেই হবে আর্জেন্টিনার।
শেষ পর্যন্ত তা না মিললে মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানা আশঙ্কা বিবিসিকে জানান জাবালেতা, ‘মেসির জন্য আমার শুধু দুঃখ হচ্ছে। আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু জেতার জন্য এটা তার শেষ সুযোগ ছিল। তাই এরপর যদি সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়, তাহলে আমি বিস্মিত হব না। সে ভীষণ হতাশ হবে এবং কাতার বিশ্বকাপ আরও চার বছর পর।’
এমন ভরাডুবি দেশের মানুষ মেনে নেবে না বলে মনে করেন ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে দরটির হয়ে ফাইনাল খেলা জাবালেতা, ‘আর্জেন্টিনার মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ হবে। এই খেলোয়াড়দের কাছে তার আরও বেশি প্রত্যাশা করে। বিশ্বকাপের জন্য প্রতিটি প্রাণ খুব ক্ষুধার্ত। তারা এটা মেনে নেবে না। আমি আগে কখনও আর্জেন্টিনার এমন পারফরম্যান্স দেখিনি। মনোবলের ঘাটতি ছিল; এটা দেখাটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার।’
আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জেতা মারিও কেম্পেসও উত্তরসূরিদের পারফরম্যান্সকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন, ‘পারফরম্যান্স ছিল লজ্জাজনক এবং প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে বিদায় ঘণ্টা আরও কাছে আসছে। দ্বিতীয় ম্যাচে যেখানে দলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানো প্রত্যাশা করা হয়েছিল, এটা খুবই বিস্ময়কর যে সেখানে আগের ম্যাচের চেয়েও বাজে পারফরম্যান্স দেখা গেল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।