বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পোর্টস ডেস্ক : নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। ব্রাজিল সমর্থকদের মনে উৎকন্ঠা। আক্রমণের বান বইয়ে দিয়েও কোস্টারিকার জাল আবিষ্কার করা যাচ্ছে না। তাহলে কি ২৪তম ম্যাচে এসে গোলশূন্য ড্রয়ের মুখ দেখবে রাশিয়া বিশ্বকাপ?
ম্যাচে অতিরিক্ত যোগ হলো ছয় মিনিট। প্রথম মিনিটেই দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে ফিলিপ কুতিনহোর গোল। পাহাড়সম বোঝা নেমে যায় ব্রাজিল সমর্থকদের উপর থেকে। সময় পেরিয়ে ম্যাচের বয়স সাতে গিয়ে ঠেকার পর আরো একটি। এ যাত্রায় ব্যবধান ব্রাজিলীয় করে দেন নেইমার। ব্রাজিল ২, কোস্টারিকা ০। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় কোস্টারিকার, শেষ ষোলর সম্ভবনা উজ্জ্বল হয় ব্রাজিলের।
সেন্ট পিটার্সবার্গে শুক্রবার সবচেয়ে বড় ঝড় সইতে হয়েছে কেইলর নাভাসকে। কুতিনহো-নেইমারের শেষ সময়ের গোলের আগে ব্রাজিলকে আটবার গোলবঞ্চিত করেন রিয়াল মাদ্রিদের কোস্টারিকিা গোলরক্ষক। আক্রমণ সামলে মাঝেমধ্যে প্রতি আক্রমণে গেলেও সুবিধা করতে পারেনি কোস্টারিকা। প্রতিপক্ষের পোস্টে কোন শটই নিতে পারেনি তারা।
অথচ গোলের প্রথম সুযোগ পায় কোস্টারিকাই। ত্রয়োদশ মিনিটে ডি বক্স থেকে লক্ষ্যভ্যষ্ট শট নেন ফাঁকায় থাকা সেলসো বোর্হেস। ব্রাজিল প্রথম সুযোগ পায় ২৭তম মিনিটে। কিন্তু নেইমার বলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগেই তাকে বাধা দেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। বিরতির আগে দুরপাল্লার শট নিলেও কেইলরকে পরাস্থ করতে পারেননি মার্সেলো।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমনাত্বক ফুটবল খেলতে থাকে ব্রাজিল। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডি বক্সে গিয়ে আক্রমণগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছিল। পাঁচ মিনিটের মাথায় গ্যাব্রিয়েল জেসুসের হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ৫৬তম মিনিটে খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন নেইমার। নিজেদের রক্ষণ সামলে প্রতিআক্রমণে ওঠে কোস্টারিকাও। ৭১তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে বল পেয়েছিলেন নেইমার। নাভাসও ছিলেন বেশ খানিকটা এগিয়ে। কিন্তু এবারো পিএসজি তারকা শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
৭৮তম মিনিটে ডি বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন নেইমার। পেনাল্টির প্রস্তুতিও নিয়ে রাখে ব্রাজিল। কিন্তু ভিডিও বিশ্লেষনে দেখা যায় সামান্ন বাধায় ইচ্ছা করেই পড়ে গিয়েছিলেন নেইমার। ফলে ব্রাজিলের পেনাল্টির আবেদন বাতিল হয়। এর পরও আক্রমণ অব্যহত রাভে সেলেসাওরা। কিন্তু কোস্টারিকার জমাট রক্ষণ গলাতে পারছিলেন না জেসুস-কুতিনহো-উইলিয়ানরা।
শেষ দিকে ধৈর্য হারিয়ে ফেলা তিতের শিষ্যদের উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ফলে হলুদ কার্ডের দন্ডে পড়েন নেইমার ও কুতিনহো। শেষদিকে তারাই হন দ্রলের ত্রাতা। ডি বক্সে ফিরমিনহোর হেড পা দিয়ে কুতিনহোকে বাড়ান জেসুস, কাছ থেকে নাভাসের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন বার্সেলোনা প্লেমেকার। আসরের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেও ব্রাজিলের ত্রাতা ছিলেন কুতিনহো। আর ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পার হওয়ারও এক মিনিট পর ডগøাস কস্তার পাস ফাঁকা জালে ঠেলে স্বস্তির কান্নায় জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকেন ব্রাজিল অধিনায়ক।
২৭ জুন ‘ই’ গ্রæপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে হারানো সার্বিয়া। একই দিন সুইসরা লড়বে কোস্টারিকার বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।