মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী যখন পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে জনমত গড়ে উঠছে, তখন উল্টো পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। দেশটির বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ খরচ হচ্ছে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রি (এসআইপিআরআই) একটি রিপোর্টে স¤প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জ্যান এলিয়াসন জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বের ৯টি দেশের মোট ওয়ারহেড ছিল ১৪ হাজার ৪৬৫টি নিউক্লিয়ার। মোট ওয়ারহেডের ৯২ ভাগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছে। এই দুই বড় দেশ বাদ দিলে বর্তমানে ফ্রান্সের কাছে ৩০০টি, চীনের কাছে ২৮০টি, যুক্তরাজ্যের কাছে ২১৫টি, ভারতের কাছে ১৩০-১৪০টি, পাকিস্তানের কাছে ১৪০-১৫০টি, ইসরাইলের কাছে ৮০টি এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে ১০-২০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। উপরের প্রত্যেকটি দেশ আবার পরমাণু অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষায় সফল হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি দেশই পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম। সিপ্রি-র প্রধান জ্যান এলিয়াসন আরো জানিয়েছেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরাইল এবং উত্তর কোরিয়া- এই দেশগুলি মিলিয়ে চলতি বছরের শুরুতে ১৪,৪৬৫টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ছিল। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪,৯৩৫। খানিকটা হয়তো কমেছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এই মোট ওয়ারহেডের মধ্যে আমেরিকা এবং রাশিয়ার কাছেই ৯২ শতাংশ রয়েছে। ২০১০ সালে দুই দেশ এসটিএআরটি ট্রিটি স্বাক্ষর করার পর এই পরিমাণ ওয়ারহেড কম হয়েছে। এই প্রত্যেকটি দেশ দূর পাল্লার বিভিন্ন ব্যালিস্টিক মিসাইল সফল ভাবে পরীক্ষা করছে। ফলে যা অবস্থা, তাতে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যদি এই সব দেশ একটিও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তাতে গোটা বিশ্ব নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এপি, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।