বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচ শুরুর পর থেকে মাঝে মাঝেই বাতাসে হাতড়াতে দেখা গেছে দু’দলের ফুটবলারদের। কেউ কেউ ম্যাচের মাঝেই দৌড়ে যাচ্ছেন সাইডবেঞ্চে, কিছু একটা স্প্রে করছেন চোখে মুখে। প্রায় ৪৬ হাজার দর্শকধারণক্ষতার গ্যালারিতেও একই চিত্র। কেউ হাত ঝাড়ছেন, তো কেউবা আবার মুখ থেকে কিছু একটা তাড়াবার ভঙ্গিতে ব্যস্ত। ঘটনাক্রম গতপরশু ভলগোগ্রাদ অ্যারেনায় হওয়া ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ম্যাচ। কারণ? পতঙ্গের হানা!
ভলগোগ্রাদে যে এমন কিছু হতে পারে, সেই আভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিল আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ভলগোগ্রাদের পাশেই বিশাল ভলগা নদী, মাছি আর পোকামাকড়ের বস্তি সেটা। বিশ্বকাপের আগে থেকেই পুরো নদী জুড়ে স্প্রে শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। আবার কাছেই একটা বাঁধ আছে, সেখানে কিছু দিন পানি প্রবাহটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেটাও মাছির বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রচারমাধ্যম। সবকিছু উপেক্ষা করে শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে ইংলিশদের জয়ের নায়ক হ্যারি কেইন বলেছেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে এখানে অনেক বেশি মাছি থাকতে পারে। অনুশীলনের সময়ই টের পেয়েছিলাম আমরা। আর যা ভেবেছিলাম সেটার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আমাদের ম্যাচের আগে, প্রথমার্ধ শেষে প্রচুর কীটনাশক স্প্রে করতে হয়েছে। কারণ কখনো মুখে আবার চোখে ঢুকে যাচ্ছিল। তবে আমার মনে হয় দুই দলই এই ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছে। ’
রাহিম স্টার্লিংকে ম্যাচের সময় মাছির উৎপাতে বেশ ভুগতে দেখা গেছে। বার বার হাত তাড়িয়ে সরানোর চেষ্টা করছিলেন ইংলিশ উইঙ্গার। পরে অ্যাশলে ইয়াংও বলেছেন, ‘খুবই বিরক্তিকর, কিন্তু কিছুই করার নেই। দুই দলকেই এটা সহ্য করতে হয়েছে।’
টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্বের আরও তিনটি ম্যাচ হবে এই মাঠে। অদৃশ্য এই প্রতিপক্ষ থেকেও সতর্ক থাকতে হবে বাকিদেরও!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।