বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঝড়ো হাওয়া আর টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে কক্সবাজারে। এই ভারী বর্ষণের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ২০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়। পানির নিচে তলিয়ে গেছে বালুখালী ক্যাম্প এলাকার সমতলের রোহিঙ্গা ঝুপড়িসহ কয়েক শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের বাসস্থান। টানা এ বর্ষণের কবলেই দিনযাপন করছেন রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর ১০ লক্ষাধিক আশ্রিত রোহিঙ্গা। উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা জানায়, যারা পাহাড়ের ওপরে ঘর বেঁধেছিলেন তারা জখম হয়েছেন, যারা পাহাড়ের নিচে ঘর বানিয়েছেন তারা এখন বন্যার কবলে পড়েছেন। ৭০ কিলোমিটার গতির বাতাসের সঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের কবলে পড়েছেন তিন সহস্রাধিক মানুষ। গত শনিবার থেকে কক্সবাজার অঞ্চলে ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে উখিয়ার কুতুপালংয়ের মধুরছড়া, বালুখালী, ময়নার ঘোনা, জামতলী, থাইংখালী ও টেকনাফের উংচিপ্রাং-এর ক্যাম্প। মধুরছড়ায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিক ঝুপড়ি ধসে পড়েছে। টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ের খাদে ও ওপরে বসবাসরত ক্যাম্পগুলোতে গত ৫ দিনে প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বালুখালী-২ নম্বর ক্যাম্পের প্রায় ২৩০টি ঘর, তাজনিমার খোলা ক্যাম্পে ৪০টি, বালুখালী-১ নম্বর ক্যাম্পে ৬০, কুতুপালং ক্যাম্পে ৭০টি ঘরসহ মোট চার শতাধিক ঘর ধসে পড়েছে। মারা গেছেন এক শিশুসহ ২ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক। উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাহাড় কেটে বা পাহাড়ে অবস্থিত। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা ঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।