মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাংহাই কোঅপারেশান অর্গানাইজেশানের (এসসিও) ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে সন্ত্রাস-দমন সামরিক মহড়া ‘পিস মিশন ২০১৮’-তে একসাথে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ভারতীয় মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো দুই দেশের সেনারা একসাথে যুদ্ধ মহড়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেবে। আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসসিও’র ভূমিকা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। এতে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে ভারত-পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে নয়াদিল্লী ও ইসলামাবাদের মধ্যে একের পর এক সংঘর্ষ লেগেই আছে। দুই দেশের মধ্যে বিভেদের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সংহতি গড়ে ওঠাটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের এক সাথে সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ইতিবাচক। ২০১৭ সালের জুনে ভারত ও পাকিস্তান যখন এসসিও’র পূর্ণ সদস্য হিসেবে গৃহীত হয়, তখন কিছু পর্যবেক্ষক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, দীর্ঘ দিনের পুরনো শত্রু এই দুই দেশ হয়তো সংস্থাটিকে নিজেদের বিবাদের কেন্দ্র বানিয়ে তুলবে। এখন দেখা যাচ্ছে এসসিও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার স্পিরিট তৈরি করতে পেরেছে। ১৯৭২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং চীনের মাও সেতুংয়ের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল, সেটা ইতিহাসের গতি বদলে দিয়েছিলো। ওই বৈঠকের আগে নিক্সন নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন: চীন কি চায়? যুক্তরাষ্ট্র কি চায়? দুটো দেশই কি চায়? নিক্সন বুঝতে পেরেছিলেন এই তৃতীয় প্রশ্নটিই দুই দেশের মধ্যে যে কোন চুক্তির মূল চাবিকাঠি। ভারত ও পাকিস্তান জানে তারা উভয়েই কি চায়- শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন। দুই দেশই এ ব্যাপারে সচেতন যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা তাদের মধ্যে যে শত্রুতার বীজ বপন করে গেছে, তা থেকে তাদের বেরিয়ে আসা দরকার এবং উভয়ের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো দরকার। ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ৭০ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন ঔপনিবেশের ছায়া থেকে তাদের বেরিয়ে আসা দরকার। এসসিও ভারত ও পাকিস্তানকে এক সাথে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু সুযোগটা তাদের একার নয়। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভও অভিন্ন স্বার্থে সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে এসেছে। নয়াদিল্লী এই প্রকল্পের ব্যাপারে শুরু থেকেই সন্দেহপ্রবণ। কিন্তু চীন ভারতের উৎপাদন শিল্প, পরিস্কার জ্বালানি ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করছে। এগুলো বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে হচ্ছে না কিন্তু দুটো বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই একই স্পিরিট কাজ করছে চীনের। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।