Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছেন, পাশাপাশি তিনি দেশটিকে নিরাপত্তারও নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সান্তোসা দ্বীপে দুই নেতার বৈঠকে ট্রাম্প এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম। ট্রাম্পের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাদ দেয়ারও প্রতিশ্রুæতি দিয়েছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক সম্মেলনে উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি হয়েছে। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠককে নিজেদের বিজয় হয়েছে বলে মনে করে উত্তর কোরিয়া। ওই বৈঠক নিয়ে বুধবার উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক উত্তর কোরিয়ার জন্য দারুণ সফলতা। এতে ট্রাম্পের সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি ও সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এদিকে, সিঙ্গাপুরে সদ্য অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর বিশ্বজুড়ে প্রশংসা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে দুই নেতা পাচ্ছেন অভিনন্দনের বার্তা। জাতিসংঘের মহাসচিব, ইইউয়ের সচিব ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ আলাদা বিবৃতিতে এসব প্রশংসাসূচক অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৈঠকটিকে, টেকসই শান্তি অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক জানিয়েছেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও নর্থ কোরিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘ। ট্রাম্প-কিম বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি বলেছেন, কূটনৈতিকভাবেই আঞ্চলিক শান্তি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। ট্রাম্প এবং কিমের মধ্যে বৈঠক দেখিয়ে দিয়েছে যে কূটনীতি আঞ্চলিক শান্তি এগিয়ে নেওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক সমাধানের পথে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। মঘারিনির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে কোরিয়া উপদ্বীপ পরিপূর্ণ এবং প্রমাণসাপেক্ষভাবে নিরস্ত্রীকরণ করা। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেরও লক্ষ্য এটিই। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার দুই নেতা যে যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষর করেছেন তাতে এই স্পষ্ট ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে যে, এ লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। সম্মেলনের পট প্রস্তুত করায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন কে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে এতে। এছাড়া আলাদা বার্তায় বৈঠকের প্রশংশা করে দুই নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এছাড়াও কানাডা, রাশিয়া, ফ্রান্স, রাশিয়া ও বিশ্বের অনন্য রাষ্ট্র প্রধানরা পৃথক বিবৃতি ও টুইটের মাধ্যমে চরম বিরোধী এই দুই নেতার প্রশংসা করে বৈঠকের জন্য অভিনন্দন জানান। অন্যদিকে বৈঠক ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনায় সারা রাত ঘুমাতে পারেননি বলে এক টুইটে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। ট্রাম্প-কিমের বৈঠক সফল হবে দক্ষিণ কোরিয়া এমন আশা করছে বলে বৈঠকের শুরুতেই টুইটে জানিয়েছেন মুন জায়ে ইন। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিষেধাজ্ঞা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ