বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রশাসন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা এবং পোস্টার বোর্ড থাকলেও পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভবনগুলোর দেয়াল। পুরাতন ভবনগুলোর সৌন্দর্য বাড়াতে প্রতিনিয়ত চলছে সংস্কার কাজ। প্রশাসনের নেয়া বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধণ কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত একেরপর এক নতুন রং পড়ছে একাডেমিক ভবন ও হলের দেয়ালগুলোতে। তবে নিয়ম না মেনে দেয়ালগুলোতে পোস্টার লাগানোর ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হচ্ছে ভবনগুলোর দেয়াল, ফলে বাড়ছে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পসের ভবন গুলোর পাশে পোস্টার লাগানোর বিল বোর্ড স্থাপন করা থাকলেও তা ব্যবহার হচ্ছে না। অথচ তারই পাশের দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ' বার্তা থাকা সত্বেও দেয়ালগুলো ছেয়ে আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তি বিশেষের পোস্টারে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের আরোপিত নির্দেশনা প্রশাসন কর্তৃকই মেনে চলা হচ্ছে না। ক্যাম্পাস ঘুরে বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে নানা অনুষ্ঠানের পোস্টারও চোখে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবন, রবীন্দ্রনাথ একাডেমিক ভবন, মমতাজ উদ্দীন একাডেমিক ভবন, শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবন, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত একাডেমিক ভবন, ড. কুদরতে খোদা একাডেমিক ভবন, জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, এম ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম মার্কেট, আবাসিক হলসমূহের মূল ফটকের সামনের দেয়ালগুলোতে চোখে পড়ে নানান ধরনের পোস্টার। এমনকি বাদ যায়নি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনটিও।
ফলে, বিশ্ববিদ্যালয় ভবনগুলোর দেয়ালের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নাঈম বলেন যে, আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকায়, তাহলে দেখতে পাই যে তাদের ক্যাম্পাসের দেয়ালগুলো কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন । কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। রাস্তার পাশে, দোকানের সামনে ময়লার স্তুপ। এমনকি বিভিন্ন পোস্টারিংয়ের ফলে দেয়াল গুলোর রং নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন চাইলে ভবন গুলোর সৌন্দর্য রক্ষা করতে দেওয়ালে পোস্টার লাগানো রোধ করা সম্ভব।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আক্কাশ আলী বলেন, দেয়ালে পোস্টার না টাঙিয়ে যদি প্রত্যেক একাডেমিক ও হল গুলোর সামনে স্থায়ী বিল বোর্ড স্থাপন করা যায়। তাহলে ভবন গুলোর সৌন্দর্য নষ্ট হবে না । বরং স্থায়ী নোটিশ বোর্ড থাকলে শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রাপ্তির একটি ভালো মাধ্যম হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা বা ছাত্ররা দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে আসছি। আমাদের ব্যক্তিসচেতনতা বোধ যদি না জাগে তাহলে আইন করে এগুলো ঠেকানো যাবে না। আর এ দায়িত্ব আমাদের সকলের। যদি রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলে মিলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি তাহলে আমার বিশ্বাস সেটা সফল হবে। আইন করে দিলাম, উদ্যোগ নিলাম কিন্তু সেটা আমরা পালন করলাম না তাহলে সেটা চিরতরে বন্ধ হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাস আয়োজিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের পোস্টার দেয়ালে দেয়ালে লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা খেয়াল করেছি এবং তাদের নিষেধ করেছি। আমরাই যদি সেটা করি তাহলে অন্যরা কেন করবে না? আমরা সকলেই মিলে চেস্টা করি যাতে সবাই সচেতন হয়। যত্রতত্র পোস্টার লাগানো রোধ করতে আমরা সবারই সহযোগিতা চাই।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।