বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানি এবং চিলির কাছে কোপা আমেরিকার টানা দুই ফাইনালে হারের পর ২০১৬ সালে দিয়েছিলেন জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা। আক্ষেপ থেকে নেয়া তার সেই অবসরের পর ঝড় উঠেছিল গোটা দুনিয়ায়। তাকে ফিরিয়ে আনতে ভক্ত-সমর্থকরা নেমেছিলেন রাস্তায়। এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্টও তাকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ফিরে আসতে। ভক্ত-সমর্থক আর দেশের দুরবস্থা দেখে বেশিদিন দূরে থাকতে পারেন নি, ফিরে এসেছিলেন লিওনেল মেসি। সামনে আরেকটি বিশ্বকাপের আগে আবারও সেই একই প্রসঙ্গ। এবার জোর গুঞ্জন, রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আসলেই জাতীয় দল থেকে অবসরে যেতে পারেন ২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষিক্ত এই ফরোয়ার্ড।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের পক্ষে যতটুকু সম্ভব, সবটুকুই দিয়েছেন মেসি। তবুও বার্সেলোনার হয়ে ৩২টি শিরোপা জয়ী মেসির আর্জেন্টিনার বেলায় অর্জনের খাতাটা শূন্য। এতেও জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জেতা হয়নি তার। টানা তিন বছরে বিশ্বকাপ আর দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেরা এই খেলোয়াড়ের এবারই শেষ সুযোগ, অমরত্ব অর্জনের জন্য। মেসি নিজেও জানেন সেটা। এ জন্যই এবার টুর্নামেন্টের পরে জাতীয় দলের বুটজোড়া পাকাপাকিভাবে তুলে রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
অবসর কি এবার আসলেই নেবেন মেসি? মেসি নিজেও অনিশ্চিত, ‘জানি না, সেটা নির্ভর করছে এই টুর্নামেন্টে আমরা কিরকম করি, টুর্নামেন্ট কীভাবে শেষ হয় তার ওপর।’ নিজের দেশে মেসিদের তিন ফাইনাল খেলার অর্জনকে খাটো করে দেখা হয় এটাও মানেন গত বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়, ‘টানা তিন ফাইনালে ওঠা সহজ নয়, হ্যাঁ, টুর্নামেন্ট জেতা অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সে পর্যন্ত যাওয়াটাও কম কিছু না।’
রাশিয়ায় আর্জেন্টিনার কত দূর যাওয়া উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারের প্রত্যাশা ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও বেলজিয়ামের মতো শক্ত প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করেই তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার জন্য লড়বে তার দল। কোনো ভাবে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরিয়ে নকআউট পর্বে উঠলেই বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন- শক্তিশালী সব দলের মুখোমুখি হতে হবে মেসিদের। কিন্তু এতে ভয় পাচ্ছেন না, সাম্পাওলির ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর, ‘বিশ্বকাপে খুব ভালো সব খেলোয়াড় আছে। আমাদেরও অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে যা অন্য দলগুলো তাদের স্কোয়াডে পেতে চাইবে, তাই আমরা কাউকে হিংসার চোখে দেখি না।’
আগামী শনিবার আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে আর্জেন্টিনার। ‘ডি’ গ্রæপে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।