পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুর শহরে সদ্য খুন হওয়া ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি প্রাণনাশের আশঙ্কায় মডেল থানায় জীবিত অবস্থায় সাধারণ ডাইরী করেছিলেন। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জিডির ৫৭ দিনের মধ্যেই নৃশংসভাবে খুন হন কেন্দ্রীয় আ.লীগের সদস্য ও কলেজ অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি।
জিডিতে অধ্যক্ষ ফেন্সি তার জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। জিডির বিষয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা বা উদ্যেগ নিয়েছেন কি না সেটিই জানার বিষয় বলে মনে করেন তার স্বজনরা। হুমকি প্রদানের ওই নাম্বারটির ব্যাপারে নিবিড়ভাবে তদন্ত করলে হয়ত অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে।
অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানার চাঁদপুর মডেল থানার দায়েরকৃত সাধারণ ডাইরীটিতে উল্লেখ করেছিলেন, গত ৮ এপ্রিল ২০১৮ সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যে তিনি রক্ত দিয়ে অপেক্ষাকালীন তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অপরিচিত নাম্বার হতে মোবাইলকারীরা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। আমি ও আমার মেয়েদের চরিত্র হরণমূলক গালিগালাজ করে আমাকে যখন যেখানে পাইবে সেখানেই জীবনের তরে খুন করে ফেলবে মর্মে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।
ইতিপূর্বে আমাকে অনুরূপভাবে জীবননাশের হুমকি-ধমকি প্রদান করেছিল। কাজেই উক্ত বিষয়ে আপনার কার্যালয়ে ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডাইরীভুক্ত করা একান্ত আবশ্যক। এসব বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি গত ০৮/০৪/২০১৮ সন্ধ্যায় চাঁদপুর মডেল থানায় জমা দেন। এটি চাঁদপুর মডেল থানার ৪১৮ নং জিডি।
উল্লেখ্য আইনজীবীদের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, হুমকি প্রদানের পর অধ্যাপিকা শাহিন সুলতানা ফেন্সি তার স্বামী জেলা আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করেন। অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম তার সহকারি মিজানুর রহমানকে ডেকে জিডি ড্রাফ করে কম্পিউটারে কম্পোজ করান।
ঐদিন সন্ধ্যায় শাহীন সুলতানা ফেন্সি অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের সহকারি কৃষ্ণা মজুমদার খুকিকে সাথে নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডাইরী হিসেবে অর্šÍভুক্ত করান।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালি উল্লাহ অলি জানান, মোবাইল ফোন চুরি ও হুমকির কারনে শাহিন সুলতানা ফেন্সির দুটি জিডি রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দু’ মাস আগে কেন খতিয়ে দেখা হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তকালে প্রায়শই দেখা যায় ভুয়া নাম্বার থেকে ফোন করা হয়েছে। পরে ঐ ফোনটি আর সচল থাকে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।