Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর করতে চাপ দেয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৪:২১ পিএম

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়েছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেলো। এখানো স্থানান্তরিত হয় নাই। আমি আশা করব এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি।

মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও সেখানে ঢাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী হতে ফুলবাড়িয়া অংশে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, মেয়র হানিফ ওড়ালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখল মুক্ত করে ওড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আটটি অংশে (উড়ালসেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই আটটি অংশেই আমরা এখানে খুব দ্রুতই কাজ শুরু করব।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে আমরা এখানে কাজ করব। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনও ধরনের অবকাঠামো চায় -- এসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনও কার্যক্রম নেয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে আগাচ্ছি। হয়তোবা একটু সময় নিবে। কিন্তু যখন এটা সম্পন্ন হলে সবাই উপকৃত হবে।
কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আমাদেরকে জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেলো। এখানো স্থানান্তরিত হয় নাই। আমি আশা করব যে, এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমাদের শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য ঘর/গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরাতন ঢাকার বিপদজনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।

এ সময় বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজকেই সেখানে যান তাহলে দেখতে পাবেন যে, অত্র এলাকার সকল মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল।

তিনি বলেন, সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের খাওয়াদাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেয়া হয়েছে। সেখানে একটি আদালত রয়েছে। সেখানে বিশাল জনসমাগম হয়। তাদের মাধ্যমেই (যাদের ইজারা দেয়া হয়েছে) আমরা পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মুক্ত রাখছি। আমরা এখন সেখানে বেষ্টনী দেবো এবং দুটো ফটক রাখব। যাতে করে বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনও সুযোগ নেই। ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে আমরা জনকল্যাণে সেটার ব্যবহার নিশ্চিত করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গোডাউন স্থানান্তর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ