মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিব্বত থেকে শুরু হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদীর বন্যা প্রতিরোধে চীনের সঙ্গে ভারত একটি চুক্তি সই করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দুই বৃহৎ রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই চুক্তি সই করেন। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)’র দুদিনব্যাপী সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এখন চীনে রয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, ‘আমাদের আলোচনা ভারত-চীন বন্ধুত্বকে আরো শক্তিশালী করবে। গতবছর গ্রীষ্মে সীমান্ত এলাকায় দেশ দুটির মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়। তা কাটিয়ে উঠে তারা এখন সম্পর্ক নতুন করে জোরদার করতে চাচ্ছে।
মূলত মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো নিরসনের লক্ষ্যে ২০০১ সালে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানকে নিয়ে এসসিও গঠিত হয়। গত বছর এই সংস্থায় যোগ দেয় দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান ও ভারত।
সম্মেলনের সাইডলাইনে সই হওয়া দুটি চুক্তি অনুযায়ী চীন ব্রহ্মপুত্রের হাইড্রোলজিক্যাল ডেটা ভারতের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে এবং ভারতের চাল রফতানির নিয়মকানুনে কিছু সংশোধনী আনবে বলে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার তার টুইটারে জানান। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে চাল, রাইসরিষা, সয়াবিন ও চিনি রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ চায়।
গত এক দশকে চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় নয়গুণ বেড়ে ৫১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। চাল চুক্তি শেষ পর্যন্ত ভারতকে চীনের বাজারে প্রবেশের সুবিধা করে দেবে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল আমদানিকার বলে ব্যবসায়ীরা জানান। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মতে এ বছর চীন ৬.৪ মিলিয়ন টন চাল কিনবে। যদিও ভারত রফতানি করবে ১১.৯ মিলিয়ন টন। খাদ্যের মান এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের হাইজিন বিবেচনায় দিল্লিভিত্তিক এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘চীনের সাইটোসেনিটারি বিধি’র কারণে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য সত্বেও ভারত চীনে চাল রফতানি করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিধি পরিবর্তিত হচ্ছে তাই ভারত সহজেই প্রতিবছর চীনে এক মিলিয়ন টন চাল রফতানি করতে পারবে। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।