মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জাপান সরকার মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত বাংলাদেশে আশ্রিত মানুষদের জন্য ইউএনএইচসিআর-এর কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য গত ২৮ মে ১৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ ২০ কোটি ডলার দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এসব মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। ইউএনএইচসিআর-এর ‘ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষা প্রস্তুতি ও প্রতিবিধান’ কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য এই অর্থ দেয়া হবে যা থেকে স্থানীয় বাংলাদেশীরাও উপকৃত হবেন। এ সহায়তার ফলে গত ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক ও বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানের সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ সহায়তা ছাড়াও জাপান সরকার জাইকার চলমান মানবিক ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আইওএম’র সহায়তায় পানি সরবরাহ প্রকল্প যা থেকে উপকৃত হচ্ছেন ৪০ হাজার বাস্তুচ্যূত মিয়ানমারের অধিবাসী ও কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষও।
এর আগে গত ২১ মার্চ জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনোর দূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার আয়ায়ো হোরি। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাস্তুচ্যূত মিয়ানমারের নাগরিকদের সেদেশে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোর সহায়তায় প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ৩টি বিষয় উল্লেখ করে বলেন: (১) বাস্তুচ্যূতদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করি এবং মিয়ানমারের সাথে আলোচনাকে স্বাগত জানাই। (২) প্রত্যাবাসন হতে হবে ‘নিরাপদ, স্বেচ্ছাপ্রণোদিত এবং সম্মানজনক’ পদ্ধতিতে। এক্ষত্রে জাতিসংঘ সংস্থার অংশগ্রহণ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনএইচসিআর-এর মধ্যে সহযোগিতারও মূল্যায়ন করি। এবং (৩) আমরা আশা করি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উভয় সরকার প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করবে এবং প্রত্যাবাসন হবে যথাযথ ধীরস্থিরভাবে।
জাপান দূতাবাস থেকে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপান সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে গভীর ভাবে যোগাযোগ রাখছে যাতে তাদের ২ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের সহায়তা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যূত বাসিন্দা ও স্থানীয় মানুষদের সহায়তায় কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়। জাপান সরকার তাদের বেসরকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ১৯ লাখ ডলারের সহায়তায় ক্যাম্পে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও গত ৯ মার্চ এসব বেসরকারী সংস্থাগুলোকে আরো ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেবার কথা ঘোষণা করে জাপান সরকার। তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।