বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা: পর্যটন শহর রাঙামাটিতে ইয়াবা-ফেনসিডিলের মতো মাদকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মাদকসেবী-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় মে মাস জুড়েই কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে একমাসে ১২টি মাদকের মামলার বিপরীতে ২২জন আসামীকে আটক করেছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, রাঙামাটি জেলায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে নিজের জিরো টলারেন্সের কথা ষ্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়ে নিজের অধীনস্থ অফিসারদেরকে রাঙামাটি শহরের মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশনাপ্রদান করেছিলেন পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। এরপর থেকেই শহরের মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই চলছে বিশেষ অভিযান।
কোতয়ালী থানা কর্তৃপক্ষ জানান, মে মাসজুড়েই তাদের চলমান অভিযানে মাদকের মামলার পাশাপাশি ৮টি ওয়ারেন্ট তামিলসহ সর্বমোট ১৬টি মামলা দায়ের করেছে। এসকল মামলার বিপরীতে সর্বমোট গ্রেফতারকৃত আসামীর সংখ্যা হলো ৩০জন।
পুলিশ সুপার আলমগীর কবির মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের জিরোটলারেন্স নীতির কারনেই আমরা অভিযানগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রেই কোনো প্রকার সুপারিশ গ্রহণ করছি না। মাদকের সাথে জড়িত এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশের টিম গিয়ে সংশ্লিষ্ঠদের আটক করছে।
এদিকে, শহরের নানাপ্রান্ত থেকে আটক করা মাদকসেবীদের সকলেই খুচরা পর্যায়ের এমন তথ্য জানিয়ে সচেতন নাগরিকদের মন্তব্য হলো মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযানে এখনো পর্যন্ত পাইকারি বিক্রেতা বা তাদের নিয়ন্ত্রণকারিদের কেউই আটক হয়নি। এতে করে মাদক বিক্রির তেমন একটা অসুবিধা হবেনা। নতুন নতুন বিক্রেতা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা চালিয়ে নিবে তাদের মাদকের ব্যবসা।
এদিকে, রাঙামাটি শহরে পুলিশের অভিযান জোরদার হওয়ার ফলে মাদকসেবীরা নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে শহরের চিহ্নিত কিছু আবাসিক হোটেলকে। স¤প্রতি এমনই তথ্য উঠে আসে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে। কয়েকদিন আগে রিজার্ভ বাজারের চিহ্নিত আবাসিক হোটেল জেরিন এ অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল।
এই অভিযানের খবর আগে থেকেই পুলিশেরই একটি চক্রের মাধ্যমে জানতে পেরে হোটেলটির পরিচালকপক্ষ তাদের হোটেলে রাখা পতিতাগুলোকে নীচ দিয়ে নামিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতঘরে তুলে দেয়। পরে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দুই পতিতাকেসহ এক দালালকে আটক করে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
এদিকে পুলিশের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবাসিক হোটেলগুলোকে অনৈতিক কাজ চলে এটা জানার পর আমরা অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু হোটেল মালিক সমিতির কয়েকজন চিহ্নিত নেতা প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন আমরা নাকি হয়রানী করি। তাই এবার আমরা প্রাথমিক সর্তকতামূলক অভিযান দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি তারা তাদের চরিত্রের পরিবর্তন নাকরে তাহলে ভবিষ্যতে আমরা এসকল আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।