Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বোমা মেশিনে ঝুঁকিপূর্ণ দহগ্রামের গুচ্ছগ্রাম

লালমনিরহাট থেকে মোঃ আইয়ুব আলী বসুনীয়া | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত দহগ্রাম আঙ্গোরপোতার ভুমিহীনদের জন্য নির্মিত গুচ্ছগ্রামটি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে বোমা মেশিনের তান্ডবে। বালু পাথর উত্তোলনের ফলে ভেঙে যাচ্ছে গুচ্ছগ্রামের মাঠ ও ঘর বাড়ি।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দীর্ঘ দিনের অবরুদ্ধ দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা তিন বিঘা করিডোর গেটটি ২০১৩ সালে সারা উন্মুক্ত করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইন্দ্রা- মুজিব চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ অবরুদ্ধ জীবনের মুক্তিই শুধু নয় এ বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাগরিক সুবিধা ও জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী পরিকল্প গ্রহন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা তিস্তার চরাঞ্চলের ভুমিহীনদের বসবাসের জন্য সা¤প্রতিক সময় ৮০টি পরিবারের বসবাসের জন্য একটি গুচ্ছগ্রাম তৈরী করে সরকার। সেখানে ৩০টি পরিবারের ঘর বাড়ি ফাঁকা রেখে পাশে আরো একটি আশ্রয়ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। যদিও আশ্রয়নটি ওই কৃষি জমিতে নির্মাণ না করতে স্থানীয় কৃষকরা জজ আদালত থেকে মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা করেছেন তাদের কৃষিজ জমি উদ্ধার করতে। মহামান্য হাইকোর্ট ভুমি সচিবের মাধ্যমে দহগ্রামের ভুমি রেকর্ডপত্র তলব করেছেন।
কৃষকরা জানান, ১৯৯২ সালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র এক ঘন্টা করিডোর গেট মুক্তি পাওয়া দহগ্রামে মাঠ জরিপের কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। সে সময় বন্যার কারনে দহগ্রামের বড়বাড়ি, সৈয়দপাড়া, শালতলি প্রভুতি গ্রামের প্রায় ১৪৫০ একর জমি মাঠ জরিপ না করেই জরিপ কাজের সমাপ্ত করা হয়। যা পরবর্তিতে সরকারী খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হয়। কৃষকরা বিষয়টি জানতে পেয়ে লালমনিরহাট জজ আদালতে ৩০ ও ৩১ ধারায় দুইটি মামলা ও সা¤প্রতি মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, গরিবের কথা কায় শুনে। গরিব মানুষ মরুক, পানিতে ভাসি গেলেও কারও কিছু হয় না। চেয়ারম্যান নিজেই গুচ্ছগ্রামের ঘরের পিছনে বোমা মেশিন বসাইছেন। এখন কাকে বিচার দিবু বাহে? - এমন প্রশ্ন তুলেন তিনি। দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ওই জমিতে বালু ভরাট করা হচ্ছে। বোমা মেশিনে কেন? - এমন প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নন্দী কুমার জানান, শ্রমিক দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাঠ ভরাটে বরাদ্ধের অর্ধেক বিল ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। তবে বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন করা সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর কুতুবুল আলম জানান, মহামান্য হাইকোর্টের একটি পত্র কৃষকরা হাতে হাতে দিয়েছেন। কিন্তু কোন অফিস কপি তিনি পাননি। অফিস কপি এলে আদালতের নির্দেশনা মেনে কাজ করা হবে। বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন করে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোমা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ