Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালী শহরে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:২৬ এএম, ৩ জুন, ২০১৮

নদীতে পানির অভাব নেই ,শুধূ মাত্র বিশুদ্ধ খাবার পানির খোজে হাহাকার চলছে পটুয়াখালী পৌর এলাকার সর্বত্র। পানির খোজে এক টিউব ওয়েল থেকে অন্য টিউব ওয়েলে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে ছুটছে পৌর বাসী।জলবায়ূর প্রভাব সহ ভূগর্ভস্থ পানির উপর অতিমাত্রার নির্ভরশীলতার কারনে ভূগর্ভস্থ পানির স্থিতীতল প্রতিবছর ক্রমাগত নীচে নেমে যাওয়ায় হুমকীর মুখে পড়ছে পটুয়াখালী পৌরবাসী।হস্তচালিত গভীর নলকূপ (টিউবওয়েলগুলি)গুলি ক্রমেই অকেজো হয়ে পড়ার কারনে ভবিষেৎ বিশুদ্ধ পানির মারাতœক সংকট দেখা দেয়ার আংশকা দেখা দিয়েছে। এ দিকে মে মাসের প্রথম দিক শূরু করে পানির সংকট বৃদ্ধি পেতে থাকে বিশুদ্ধ খাবার পানির একমাত্র ভরসা হস্ত চালিত নলকূপগুলিতে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ দিশেহারা হয়ে একবাড়ী থেকে অন্য বাড়ীতে কলস নিয়ে সকাল সন্ধ্যা ছুটছে।বিশেষ করে রমজান মাসে বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য মানুষ চরম ভোগান্তির চরম পর্যায় পৌছেছে।
এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকায় সরকারি ৮৫০টি হস্তচালিত গভীর নলকূপের মধ্যে ৮১০টি সচল এবং ৪০টি অকেজোর কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বাস্তবতা হচ্ছে এই পৌর এলাকায় অকেজো (যেসব টিউবওয়েলে পানি উঠছে না) গভীর নলকূপের সংখ্যা অনেক বেশি। সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন মিলিয়ে অন্তত: অর্ধেক টিউবওয়েলেই এখন পানি উঠছেনা। এসব টিউবওয়েল এখন অকেজো পড়ে রয়েছে। এর ফলে রমজান মাসে পটুয়াখালী পৌর শহরে খাবার পানির সমস্যায় ক্রমেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পোৗরবাসি। এ পৌর শহরে হাতেগোনা কয়েকটি টিউবওয়েলে পানি উঠলেও সেখান থেকে বিশুদ্ধ পানি নেওয়ার জন্য পুরোদমে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। কার আগে কে পানি নেবে এ নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কাড়াকাড়ি। প্রতি বাসা থেকে ৪/৫টি কলস ভর্তি করে পানি নেয় গৃহকর্তা ও গৃহকত্রী কিংবা গৃহকর্মীরা।
শহরের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা অসিত পাল জানান প্রায় একমাস পর্যন্ত বিভিন্ন লোক দিয়ে কষ্ট করে খাবার পারি আনতে হয়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম জানান, পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে ১ হাজার ১৮০ ফিট পর্যন্ত পাইপের সংযোগ দেওয়া না হলে ভাল পানি পাওয়া যাবে না। তবে, পানির সমস্যা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। তারপরও পানির যেটুকু সমস্যা রয়েছে তা ২০ রমজানের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া নতুন করা ৭টি উৎপাদক নলকূপ চালু হয়ে গেলে পৌর এলাকায় পানির আর কোন অভাবই থাকবে না।
পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার শামসুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী পৌর এলাকায় পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে পৌর শহরে পানির স্থিতিতল রয়েছে ৩২ ফিটে। এছাড়া শহরে বেআইনী ভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন শতশত টিউবওয়েল সহ অতিরিক্ত গভীর নলক‚প স্থাপন এবং এক সঙ্গে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।নদী মাতৃক এই এলাকাকে ভবিষেৎ সুপেয় পানি সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে অতি দ্রুত ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরের স্বাভাবিক পানি পক্রিয়াকরনে মাধ্যমে ব্যবহারের দিকে নজর বাড়াতে হবে এবং এ লক্ষে সরকার নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন,ইতোমধ্যে জেলায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ২৭ টি পুকূর সংস্কার করে সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহের প্রকল্পের কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশুদ্ধ পানি

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ