সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ বুধবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন উপকূলভাগ দিয়ে কেটে গেছে। এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে দেয়া সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের বর্ধিত প্রভাবে প্রায় সারাদেশে গা-জ্বলা ভ্যাপসা গরম পড়ছে। চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় অঞ্চলে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।

তবে বর্ষার বারতা নিয়ে মৌসুমী বায়ু কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। এরফলে তিন দিন পর স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে শুরু হতে পারে। একজন আবহাওয়াবিদ আরও জানান, বাংলাদেশের সন্নিকটে রাখাইনে দুর্বল হয়ে পড়া গভীর নিম্নচাপ এবং একই সময়ে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘনিয়ে আসার ফলে আবহাওয়ায় পরিবর্তন সূচিত হতে পারে। যা স্বাভাবিক আবহাওয়ার পালাবদল।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন উপকূলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিম্নচাপটি পরিণত হয় গভীর নিম্নচাপ। পরে এটি মিয়ানমারের রাখাইন উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে মধ্য মিয়ানমারে স্থল নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে আজও সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। মাছ শিকারী ট্রলার নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

সেই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৩ দিনে বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ুমালা টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। সেই সাথে বৃষ্টি, বজ্রবষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।