Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনগণ আমাকে ভালবাসে, আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবেন না -এরদোগান

একে পার্টিকে দুর্বল করতে বিদেশি শক্তিগুলো উঠেপড়ে লেগেছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৮, ৮:২৪ পিএম

তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (একেপি) দুর্বল করতে বিদেশি শক্তিগুলো উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। জার্মানিতে তুরস্কের বিরোধীদলকে সমাবেশের অনুমতি ও ফরাসি ম্যাগাজিনে এরদোগানকে ‘একনায়ক’ হিসেবে উপস্থাপন করার প্রেক্ষিতে এরদোগান এই অভিযোগ করেন। সোমবার পশ্চিমাঞ্চলীয় ‘ম্যানিনা’ প্রদেশে এক জনসভায় ফ্রান্স ও জার্মানিকে উদ্দেশ্য করে এরদোগান বলেন, ‘আপনারা আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবেন না। আপনারা আমাদের মধ্যে কোনও দূরত্বও তৈরি করতে পারবেন না। আমি আল্লাহর রহমতে আমার জনগণকে ভালোবাসি এবং আমার জনগণও আল্লাহর রহমতে আমাকে ভালোবাসে।’ ২৬ মে জার্মানির শহরে কোলনে তুর্কি ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এইচডিপি) সমাবেশ করতে দেয়ার অনুমতি দেয়ায় জার্মান কর্তৃপক্ষের ‘দ্বিমুখী নীতি’র কঠোর সমালোচনা করে তুর্কি সরকার। জার্মানির আইন অনুযায়ী, দেশটিতে যে কোনো ধরনের র‌্যালি বা সমাবেশের জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্তত তিন মাস আগে অনুমতি নিতে বিদেশি রাজনীতিবিদরা বাধ্য। কিন্তু এইচডিপি’র জন্য এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। অন্যদিকে, একে পার্টির রাজনীতিবিদদের সেখানে প্রচারণা চালাতে একাধিকবার বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জার্মানির এই পদক্ষেপকে ‘ভন্ডামি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এতে বলা হয়, এইচডিপি’র সমাবেশে জন্য জার্মানির অনুমতি গণতান্ত্রিক কর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যায় না। এছাড়াও, এরদোগান ফরাসি ম্যাগাজিন ‘লে পয়েন্ট’ এ তাকে ‘একনায়ক’ হিসেবে উপস্থাপন করারও তীব্র সমালোচনা করেন। সম্প্রতি ম্যাগাজিনটির কভার পেজে এরদোগানের বিশাল ছবির ওপর শিরোনামে বলা হয়, ‘দ্য ডিকটেটর : হাউ ফার উইল এরদোগান গো?’ বা ‘একনায়ক : এরদোগান আর কত দূর যাবে?’ এরদোগান বলেন, ‘তারা (ফরাসি সরকার) সন্ত্রাসীদের পুলিশি পাহারায় সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে। অন্যদিকে, আমাদের শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতিটি পদক্ষেপকে বাধা দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে লেখা পোস্টারগুলোকে তারা পুলিশ দিয়ে রক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জনগণের সঙ্গে আমার বন্ধন রয়েছে। আপনারা এধরনের পোস্টার সাঁটিয়ে যা ইচ্ছে বলতে পারেন, কিন্তু আমরা এর পরোয়া করি না।’ হুরিয়াত ডেইলি নিউজ।



 

Show all comments
  • মাহবুব ২৯ মে, ২০১৮, ১১:৫১ পিএম says : 0
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন সিসিকে কেন সমর্থন দেয় বিশ্ব? এরদোগান সত্য বলে ,তাই তাকে মৌলবাদী মনে হয়! এরদোগানের চেয়েও বেশী কট্ররপন্থী শাসক মুসলিম দুনিয়ায় আর্বিভূত হবে।কারন আধুনিক সভ্যতার কাগজী তন্ত্র,উগ্রতা,দ্বিমুখীতা,বীভৎসরূপ তথা ব্যর্থতা বেশ কয়েক দশক ব্যাপী প্রকটরূপে প্রকটিত।অব্যশই এ ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া ইসলামী উগ্রতার যাত্রা কেবল শুরু,দ্বিপ্রহরে বহু উগ্রপন্থী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবে।তখন হন্য হয়ে উদার এরদোগানের মত নেতা খুঁজবে কিন্তু ভুল পররাষ্ট্রনীতির কারণে এরদোগানরাই উগ্রতার পথে যাত্রা করবে।আরাফাতকে আমেরিকা পছন্দ হয়নি ফলে আরাফাতের চেয়েও একধাপ এগিয়ে হামাস জনপ্রিয়তা পেয়ে এগিয়ে আসল।জনগনের ভোটে মুরসী নিবাচিত হলো,সিসি কী করল ?কোথায় লিংকনের দেশ?জঙ্গীবাদকে রূগতে গিয়ে একনায়কদের সাথে মিতালি পর্ব কেবল শুরূ।কারণ প্যাকেট সভ্যতার দাম্ভিক ব্যর্থতা জঙ্গীবাদকে জনপ্রিয় করছে এবং দ্রূত বিশ্বায়ন হচ্ছে।এহেন অবস্থায় আধুনিক ইসলামপন্থী উদার শাসক---এরদোগান-মুরসীরাই জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রনে কার্যকর।কিন্তু তা না করে যদি ষড়যন্ত্র করে উৎখাত করা,বন্দী করা,গুপ্ত হত্যা করা,অপজিশনকে উৎসাহিত করার মত নানা বক্র পদ্ধতি অবলম্বন করলে একদিন মুসলিম বিশ্ব তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির জলপানের মত উগ্র দর্শন সাদরে গ্রহন করবে।আর তা খুব স্বাভাবিক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ