নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রায় দুই মাসের লম্বা আইপিএল খেলে গতকাল সকালেই দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। তবুও বিশ্রামের ফুরসত কই বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়কের! আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে আজই ভারত যাচ্ছে মাশরাফি-মুশফিকরা। তবে বিশেষ বিবেচনায় দু’দিন বিশ্রাম নিয়ে পরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন অধিনায়ক।
বেশ কিছুদিন থেকেই আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে কথা উঠলেই ক্রিকেটারদের দিকে যাচ্ছে রশিদ খান নিয়ে প্রশ্ন। সিরিজ নিয়ে আগের দিন করা আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কৌতুহল মেটানোর চেষ্টা করেছেন সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে তাতেও যেন সঠিক উত্তরটি মেলেনি সাংবাদিকদের। দেশের মাটিতে পা দিয়ে তাই সাকিবকে পেয়ে সেই উত্তরের খোঁজে ছুটল প্রশ্নবান। তবে আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনারকে নিয়ে এত মাতামাতি পছন্দ হচ্ছে না বিশ্বসেরা এই অররাউন্ডারের। দেশে ফিরেই রশিদ খান প্রশ্নে মুখোমুখি হয়ে সাকিবের পালটা প্রশ্ন, ‘কারা আলোচনা করে? প্রশ্ন আপনারা করলে প্লেয়াররা উত্তর দিচ্ছে? নাকি প্লেয়াররা আলোচনা করছে?’
এবার আইপিএলে একই দলে খেলছেন সাকিব ও রশিদ। রশিদ কি করতে পারেন ভালোই জানা তার। তবে প্রতিপক্ষকে মাপতে চান পেশাদারি চোখে, ‘সবাইতো ভাল বোলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যারা খেলে সবাই ভাল বোলার। তাই কেউ ভাল বল করবে কেউ খারাপ বল করবে। ভাল ব্যাটসম্যানরা সেটাকে ভালভাবে হ্যান্ডেল করবে সেটাই নিয়ম।’ রশিদকে নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নেও বিরক্তি সাকিবের, ‘প্রশ্ন আপনারা করলে আলোচনা হবেই। আমি উত্তর দিলাম না, আলোচনাও হলো না।’
এবারই আইপিএলে এক আসরে সবচেয়ে বেশি ১৬ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। বল হাতে প্রায় সব ম্যাচেই রেখেছেন অবদান। ব্যাট হাতে শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আক্ষেপ আছে সে জায়গায়, ‘হয়তো আরেকটু ভালো হতে পারতো। তবে সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট যে ভালো ফল হয়েছে টিমের। ব্যক্তিগত দিক থেকেও সন্তুষ্ট। কিন্তু একটা অতৃপ্তি আছে সেটা হলো প্রতি ম্যাচেই ভাল শুরুর করার পরেও রানটা বড় করতে পারিনি।’
রশিদ, আইপিএল শেষে সামষ্টিক এক প্রশ্নের উত্তরে কোন রাখঢাক করেননি দলপতি। জানালেন র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে থাকায় আফগানিস্তানকেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেভারিট। যদিও সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ফেভারিট তকমার পক্ষেও নন তিনি। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বরে আছে আফগানিস্তান। দুই ধাপ নিচে দশে অবস্থান বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে ফেভারিট তত্তে¡র পক্ষে মোট নাই বাংলাদেশ অধিনায়কের, ‘আসলে টি টোয়েন্টিতে ফেভারিট বা অফেভারিট এই ধরনের কোন তকমা থাকে না। যে কোন দল যে কোন সময় যে কাউকে হারাতে পারে। যেহেতু আফগানিস্তান আমাদের চাইতে দুই ধাপ এগিয়ে কাজেই আমি বলবো ওরাই ফেভারিট।’
নিদহাস কাপে বাংলাদেশ খেলেছে আগ্রাসী ক্রিকেট। দেরাদুনে আফগানদের বিপক্ষেও তেমনটি খেলবে কিনা তা আলোচনার পরই ঠিক করবে বাংলাদেশ, ‘সবসময় সবজায়গাতে অ্যাটাক করাটা যে ঠিক হবে এটাও ঠিক না। অবশ্যই আমরা আলোচনা করবো। কোন জায়গায় কোনভাবে খেললে আমাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে সেইভাবে চেষ্টা করবো।’
আইপিএল খেলতে লম্বা সময় ভারতে থাকায় সেই অভিজ্ঞতা আফগানিস্তান সিরিজে কাজে লাগবে সাকিবের, ‘একই কন্ডিশন। একই জায়গায় খেলা হবে। অবশ্যই কাজে আসবে। যদিও দেরাদুনে আমাদের কোন ম্যাচ হয়নি। তারপরেও আমার মনে হয় একই হবে। ভারতে সাধারণত যে ধরণের উইকেট থাকে ওই ধরণেরই হবে। এই অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই কাজে আসবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দেরাদুনে ৩, ৫ ও ৭ জুন তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।