পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
এবার হাওর এলাকাসহ সারাদেশেই বোরো ধানের আশাতীত ফলন রয়েছে। গত বছর হাওর এলাকায় আগাম বন্যায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রায় সব হাওরই ডুবে যায় এবং কৃষকরা ভরা ধান ঘরে তুলতে না পেরে একটা নজিরবিহীন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। হাওর এলাকায় বোরো ধানই একমাত্র সম্বল। কোনো কারণে ধানের ক্ষতি হলে বা ধান মার গেলে কৃষকদের দুর্দিনের আর শেষ থাকে না। গত বছরের ফসলহানির পর কীভাবে তাদের দিন কেটেছে, কীভাবে তারা আবাদ-ঘাটে মনোনিবেশ করেছে, কীভাবে অর্থ জোগাড় করেছে, তারাই কেবল বলতে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও বন্যা এবং সেইসঙ্গে বøাস্ট রোগে বোরো ধানের প্রভূত ক্ষতি হয়। কৃষকদের অনেকেরই সংসার চালাতে, পরিবারের অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করতে এবং চাষাবাদের খরচ জোটাতে কষ্টে-সংকটে পড়তে হয়। সর্বত্রই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখ হাসিতে উদ্ভাষিত থাকার কথা। অথচ তাদের মুখে হাসি নেই। ধান নিয়ে তারা বড় রকমের বিপাকে পড়েছে। ধানের দাম নেই। প্রতিমণ ধান উৎপাদনে যেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে, সেখানে প্রতিমণ ধান বেচতে হচ্ছে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এই বিরাট ক্ষতি স্বীকার বা বহন করার ক্ষমতা তাদের নেই। ঋণ-দেনা পরিশোধ, সংসারের নানা অত্যাবশীয় প্রয়োজন পূরণ, পরবর্তী ফসলের জন্য নগদ অর্থের যোগান-এসবের জন্য ধান ঘরে ফেলে রাখার কোনো উপায় নেই। এমতাবস্থায়, অধিকাংশ কৃষক এত লোকসান দিয়ে হলেও ধান বেচে দিতে বাধ্য হচ্ছে। কত কষ্টে, কত দু:খে, কত ক্ষোভে ও হতাশায় যে তাদের এটা করতে হচ্ছে, সহজেই অনুমেয়। ফড়িয়া-দালাল, মজুদদার-ব্যবসায়ী ও মিলাররা পুরো ফায়দা উঠিয়ে নিচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান পুরোদমে চালু থাকলে মধ্যসত্ত¡ভোগীরা এভাবে কৃষকদের ঠকাতে পারতো না। কাগজে-কলমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে ২ মে। বাস্তবে অধিকাংশ স্থানে এখনো শুরু হয়নি। মুষ্টিমেয় কিছু স্থানে লোক দেখানো মতো শুরু হলেও কেনাবেচা তেমন নেই বললেই চলে। এবার ধান-চাল সংগ্রহলক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ধান দেড় লাখ টন, চাল সাড়ে ৮ লাখ টন। এখানেও দেখা যাচ্ছে, লাভের ভাগটা মজুদদার ব্যবসায়ী ও মিলারদেরই বেশি করে দেয়া হয়েছে। কৃষকরা সাধারণত ধানই বেচে। চাল বানিয়ে বিক্রী করা নানা কারণে তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এবার ধানের সংগ্রহমূল্য প্রতিকেজি ২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হিসাবে একমণ ধানের দাম হয় ১০৪০ টাকা। উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা বাদ দিলে প্রতিমণ ধানে কৃষকদের লাভ হয় ২৪০ টাকা। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেশি করে নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা অধিকতর লাভবান হতে পারতো। তা করা হয়নি। প্রতিকেজি চালের দাম ৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে একমণ চালের দাম দাঁড়ায় ১৫২০ টাকা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ধানকে চাল বানিয়ে বিক্রী করা কৃষকদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কাজ করে ব্যবসায়ী ও মিলাররা। এ জন্য তাদের সমুদয় উপায়-উপকরণ, অর্থ ও লোকবল মজুদ আছে।
প্রশ্ন হলো, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্য কি কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, নাকি ব্যবসায়ী ও মিলারদের যথেচ্ছ মুনাফা লোটার সুযোগ করে দেয়া? ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মহৎ। মোটামুটিভাবে বলা যায়, কৃষকদের একটা সন্তোষজনক দাম দেয়া, ব্যবসায়ী-মিলারদের একচেটিয়াবাদ খর্ব করা, বাজারে মূল্যের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা তৈরি করা এবং সরকারিভাবে খাদ্যের একটি নিরাপত্তামূলক মজুদ গড়ে তোলা বা ধরে রাখা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কৃষকের জায়গায় গুরুত্ব পাচ্ছে মুজদদার, ব্যবসায়ী ও মিলাররা। সরকার কৃষকদের কাছে থেকে নয়, মধ্যসত্ত¡ভোগীদের কাছ থেকেই ধান-চাল কিনছে। বিভিন্ন মওসুমে ধান-চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্জিত হয় না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার আওতায় আনার কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
এই যে এখন সংগ্রহ অভিযান চলছে না কিংবা কোথাও কোথাও নামকাওয়াস্তে চলছে, এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষকরা। আগামীতে হয়তো জোরে শোরে চলবে সংগ্রহ অভিযান এবং তখন হয়তো কৃষকদের হাতে ধান থাকবে না। ধান থাকবে মজুদদার-ব্যবসায়ী ও মিলারদের কাছে। সরকার তাদের কাছ থেকেই কিনবে। এতে সরকারের কোনো ক্ষতি না হলেও লাভটা কিন্তু ওই মজুদদার-ব্যবসায়ী ও মিলারদের ঘরেই উঠবে। এই লাভের ক্ষেত্রে কৃষকদের কোনো অংশ নেই, জায়গা নেই।
গত একদশকে প্রতি হেক্টরে বোরোর যে ফলন হয়েছে, এবারে হয়েছে তার চেয়ে বেশি। এতদিন হেক্টরে ফলন ৪ টনের নিচে থাকলেও এবার ৪ টনের উপরে উঠেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক শূণ্য ২৫ টন। হয়েছে ৪ দশমিক শূণ্য ৫ টন। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ধারণা দিয়েছেন, এ বছর বোরো চালের উৎপাদন ২ কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর ছিল ১ কোটি ৮০ লাখ টন এবং এর আগের বছর ১ কোটি ৯১ লাখ টন। এ অভিমত অনেকেরই, এবার ধান ও চালের সংগ্রহলক্ষ্য আরো বেশি করে নির্ধারণ করা দরকার ছিল। গত বছর হাওর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বোরো উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংগ্রহলক্ষ্য অর্জিত হয়নি। উৎপাদন ঘাটতিও ছিল। এবার উৎপাদন বেশি হওয়ায় বেশি করে সংগ্রহ করে সেই ঘাটতি পূরণ উচিৎ ছিল। এটা কৃষকদের জন্য হতো স্বস্তিকর ও অধিকতর লাভজনক। তাদের কম দামে ধান বেচে এতবড় লোকসানে পড়তে হতো না। কিশোরগঞ্জ জেলায় এবার প্রায় ৭ লাখ টন চাল উৎপাদিত হতে পারে। অথচ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ৭ হাজার টন। অর্থাৎ উৎপাদনের মাত্র ১ শতাংশ। চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা বেশি হলে মজুদদার, ব্যবসায়ী ও মিলাররা প্রতিযোগিতামূলক দামে বেশি করে ধান কিনতে উৎসাহিত হতো। সেক্ষেত্রে কৃষকদের উৎপাদন খরচের চেয়ে ২০০-৩০০ টাকা কমে হয়তো ধান বেচতে বাধ্য হতে হতো না। তাদের একটা অংশ, যাদের সামর্থ আছে, ধানের বদলে চাল বানিয়ে বিক্রী করার পদক্ষেপও নিতে পারতো। অর্থাৎ কৃষকদের পক্ষে যায় এমন কোনো অবস্থা এখন বিরাজমান নয়। কৃষকরা ধান উৎপাদন করে যেন তারা মহা-অন্যায় করে ফেলেছে। কোনো ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেলে সেই ফসলের আবাদ-উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কৃষক। অন্য ফসলের আবাদ করে। বিকল্প ফসল আবাদের সুযোগ না থাকলে এমন কি জমি পতিত ফেলে রাখে। পাট ও আখের উৎপাদন এভাবেই কমে গেছে। আমরা এই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে এভাবে বঞ্চিত হতে থাকলে কৃষকরা একদিন ধানের আবাদও কমিয়ে দেবে, ছেড়ে দেবে। কোনো কোনো এলাকায় ধানের আবাদ ইতোমধ্যে কমেছে বলে খবর আছে। ধানের আবাদ-উৎপাদন কমলে খাদ্য নিরাপত্তা আরো হুমকির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে, সন্দেহ নেই। বলা হয়, খাদ্য উৎপাদনে আমরা নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি। চাল রফতানির মহড়া দিয়ে এটা প্রমাণ করার চেষ্টাও লক্ষ্য করি। অথচ গত বছর বোরোর উৎপাদন ক্ষতির পর চালের দাম সেই যে আকাশে চড়ে, আজো নামেনি। এখনো মোটা চাল ৫০ টাকার নীচে নয়, মাঝারি চাল ৬০ টাকার ওপরে। প্রতি বছরই ধানের বাম্পার ফলন হয়। বলা হয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে। অথচ গত বছর ১০/১৫ হাজার টনের মতো উৎপাদন ক্ষতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকারকে নাকানি-চুবানি খেতে দেখেছি। চালের দাম মোটেই কমাতে পারেনি। এমনকি আমদানি শুল্ক ফ্রি করে যথেচ্ছ আমদানির সুযোগ দেয়ার পরও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। প্রশ্ন উঠে, খাদ্যোৎপাদন বিপ্লব, সয়ম্ভরতা অর্জন কিংবা খাদ্য মজুদের লম্বা ফিরিস্তি-এসব কি কথার কথা মাত্র? এর মধ্যে যথেষ্ট ফাঁক রয়েছে। গত ১৫ মে পর্যন্ত দেশে রেকর্ড ৯২ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ আমদানির পরও চালের বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব নেই কেন?
উৎপাদক কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। তাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত বা সহজ করে দেয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপই ফলপ্রসু হচ্ছে না। মাঝখান থেকে মধ্যসত্ত¡ভোগী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের হচ্ছে পোয়াবারো। তারা মিলেমিশে টাকা-পয়সা ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। ওদিকে ভোক্তাদের জন্যও ভালো খবর নেই। খাদ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বা স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আমদানি, আমদানিতে শুল্ক সুবিধা বা শুল্ক বেয়াত, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রী- কোনো কিছুই ভোক্তাদের কোনো কাজে আসছে না। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের লাভের ছুরিতে তাদের প্রতিদিন ক্ষতবিক্ষত ও রক্তশূণ্য হতে হচ্ছে। দেশটা চলছে সরকারের দেয়া তথ্য, হিসাব ও পরিসংখ্যান দিয়ে। বাস্তবে এসবের কোনো প্রতিফলনই লক্ষ্যণীয় নয়। উৎপাদন চাহিদা, বাজারজাতকরণ, বাজার ব্যবস্থাপনা-সব ক্ষেত্রেই হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। সরকার কেবল ব্যস্ত আছে ক্ষমতায় টিকে থাকা, বিরোধীদল দমন এবং উন্নয়নের জয়ডংকা বাদনে। কৃষকের সর্বনাশ, সাধারণ মানুষের কষ্ট-বিড়ম্বনা, কোনো কিছু যেন সরকারকে স্পর্শ করেনা।
এক বছরেরও কম সময়ে ৯২ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির কি কোনো প্রয়োজন ছিল? বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেয়ার পরও গত কয়েক মাসে খাদ্যশস্য আমদানি কমেনি। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টন চাল আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। আর আমদানি-হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টন। এ সময়ের আগে খোলা এলসিতেও চাল এসেছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের চালে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারককরা কিভাবে ও কোন বিবেচনায় এত খাদ্য আমদানির অনুমোদন ও প্রশ্রয় দিয়েছেন তার কোনো সদুত্তর নেই। অনেকের ধারণা, ধানের বাজারমন্দার জন্য অপরিনামদর্শী চাল আমদানি বিশেষভাবে দায়ী। আমদানিকারক-ব্যবসায়ীরা চালের বিরাট মজুদ গড়ে তুলেছে। মিলারদের কাছেও যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। এই মজুদের সুবাধে তারা-ধান-চাল কেনা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। কিনলে তাদের ইচ্ছামত দামে কিনছে। তারা নিশ্চিত, কম দামে কিনলেও সরকারের কাছে বেশি দামে বেচতে তাদের অসুবিধা হবে না। চালের বাজার চড়িয়ে রাখতেও কোনো বেগ পেতে হবে না। কারণ, বাজার সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি সরকার যা কিছু করছে তার লক্ষ্য ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকদের সুবিধা নিশ্চিত করা? কৃষক ও সাধারণ মানুষ কি তার কাছে ব্রাত্য?
কৃষি ও কৃষকদের প্রতি এই অবহেলা ও উপেক্ষার পরিনাম কী হতে পারে, তা অনুমান করা অসাধ্য নয়। কৃষি সব সময়ই দেশের শীর্ষস্থানীয় খাত। খাদ্যসংস্থান, কর্মসংস্থান, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান ইত্যাদির বিবেচনায় কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারের প্রশ্নবিদ্ধ ও অপরিনামদশী নীতি ব্যবস্থার কারণে এখাতে বিপর্যয় দেখা দিলে তার খেসারত জাতি ও জনগণকেই দিতে হবে। আমরা কৃষক ও কৃষকবান্ধব নীতি ও পদক্ষেপই দেখতে চাই। চাই বলেই আশা করি, বোরো ধান নিয়ে কৃষকরা যে বিপাকে পড়েছে তা সুরাহায় ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ মুহূর্তে খাদ্যশস্য আমদানির কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমদানি বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বোরো ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে এবং সরকার নির্ধারিত দামে কৃষকদের কাছে থেকে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে কৃষি উজ্জীবিত হবে এবং কৃষকরা বিদ্যমান বিপাক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।