Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় সিরীয় শরণার্থীরা

আইনটি বলবৎ হলে যারা শরণার্থী হয়েছে তারা আর সিরিয়ায় যাবে না : ইইউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সিরীয় যুদ্ধে যেসব এলাকার অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে সেসব স্থানে আবার স্থাপনা গড়ে তোলা হবে এমন কথা জেনে ওইসব স্থান থেকে বিদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা সিরীয় নাগরিকরা ও তাদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলো চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ‘ল টেন’ নামের একটি আইন কার্যকরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাশার সরকারের পক্ষ থেকে। ওই আইনে বলা হয়েছে, পুনর্গঠনের কাজ করা হবে এমন এলাকাগুলোতে থাকা সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে খুব কম মানুষই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের মালিকানা স্বত্ব প্রমাণ করতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা সিরীয়দের সামনে এখন এখন বড় একটি সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে। তারা কি সিরিয়ায় ফেরত যাবেন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য না কি শরণার্থী শিবিরেই থেকে যাবেন। যদি সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে তাদের সিরিয়ায় ফেরত যাওয়ার মতো আর কোনও বিশেষ আগ্রহ থাকবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘যদি এককালের বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় আইনটি বলবৎ হয়, তাহলে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে যারা শরণার্থী হয়েছে তারা আর সিরিয়ায় ফিরে যাবে না। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ এর বিরোধিতা করেছেন। তার ভাষ্য, আইনটির অপব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে করে পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণকে তার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা যায়। গ্রিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আইনটি ‘কাউকে বাতিল করে দেওয়ার জন্য বানানো হয়নি।’ সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, নতুনভাবে অবকাঠামো নির্মাণের নামে সিরীয় সরকার তাদের সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে আশ্রয়দাতা দেশগুলো ভাবছে, সিরিয়ায় থাকা সম্পত্তি যদি না থাকে তাহলে শরণার্থীদের সিরিয়ায় ফেরানোর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হয়ে যাবে। গত মাসে দামেস্কর কাছে থাকা বিদ্রোহীদের ঘাঁটি উচ্ছেদ করার পর পুরো পশ্চিম সিরিয়া আসাদ বাহিনীর দখলে চলে যায়। এরপরই ‘ল টেন’ নামের একটি আইন কার্যকরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবকাঠামো


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ