পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
গাজা সীমান্তে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে শুক্রবার শতাধিক নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। বিক্ষোভে অন্তত ১০ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সবমিলিয়ে ১০৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এদিনের বিভিন্ন বিক্ষোভে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও দলটির গাজা অংশের শীর্ষ নেতা ইয়েহিয়া আল-সিনওয়ার অংশ নেন। তাদের উপস্থিতি বিক্ষোভকারীদের আরও আন্দোলিত করে। এদিকে গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি স্নাইপারদের তাজা গুলি ছোড়া বন্ধে কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির আদালত। এর মাধ্যমে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে অবৈধ রাষ্ট্রটির সেনাবাহিনীকে। বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির প্যানেল সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে যুক্তি দেখিয়েছেন যে বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলি সেনা ও নাগরিকদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির আদালতের এই রায় ফিলিস্তিনি নিরপরাধ বিক্ষোভকারীদের ওপর তাজা গুলি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মার্চ অব রিটার্ন বা নিজেদের বসতবাড়িতে ফেরার অধিকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ইসরাইলের নির্বিচার গুলিতে এ পর্যন্ত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন। শক্রবার কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি তরুণ-যুবক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে শরণার্থী হওয়া লাখ লাখ মানুষকে ইসরাইলের দখলে থাকা এলাকায় ফিরতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভের শুরুর দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৩০ মার্চকে; ১৯৭৬ সালের এই দিনে নিজেদের বসতবাড়ি দখলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিলেন। শুক্রবারের বিক্ষোভে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিই সীমান্ত বেষ্টনীর ৮০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। কয়েক ডজন তরুণ বেষ্টনীর একটি স্থানের ৩০০ মিটারের কাছাকাছি গিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন। গাজার পূর্ব দিকের সীমান্তেও কিছু তরুণ সীমান্ত বেষ্টনীর কাছাকাছি চলে এসে তা টেনে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের দিকে তাজা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সৈন্যরা ইসরাইলের মাটিতে নামার আগেই বেশ কয়েকটি ঘুড়িও গুলি করে ভূপাতিত করে। দখল করা এলাকায় ইসরাইলি ফসলের ক্ষেত জ্বালিয়ে দিতে লেজের দিকে আগুন লাগিয়ে ঘুড়িগুলো উড়িয়েছিল ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।