পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি সেনারা দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে অভিযান চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তারা। ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেনিন শহরে একটি গাড়ির ভেতর বসা অবস্থায় তারা গুলিবিদ্ধ হন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, ওই ব্যক্তিরা গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ইসরাইলি সেনারা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় ওই এলাকায় ‘তীব্র সংঘর্ষ’ চলছিল বলে জানিয়েছে তারা। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা তিন ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর খতিয়ে দেখছে। ঘটনাস্থলে থাকা আন্তর্জাতিক এক বার্তা সংস্থার একজন ফটোগ্রাফার মর্গে তিন তরুণের লাশ ও অসংখ্য বুলেটবিদ্ধ একটি গাড়ি দেখেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে- আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরকে সামনে রেখে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বাইডেনের সফরের আগে আমেরিকা সেখানে উত্তেজনা ও সহিংসতা হ্রাসের যে আহ্বান জানিয়েছে তারই জবাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরাইল। আগামী ১৩ থেকে ১৬ জুলাই দখলদার ইসরাইল এবং কয়েকটি আরব দেশ সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সফরকে সামনে রেখে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যা-নির্যাতন আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদসহ সেখানকার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো তিন ফিলিস্তিনি যুবককে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা আলাদা বিবৃতিতে বলেছে, শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। আমেরিকার মানবাধিকারের স্লােগান যে কেবলি লোকদেখানো তা ফিলিস্তিন পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।