Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মৌলভীবাজার বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর ৮ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র আব্দুলাহ হাসান এর হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ ঘটিকায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যলয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন এক প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, হত্যাকান্ডের প্রায় তিন মাস আগে নিহত স্কুল ছাত্র আব্দুলাহ হাসানের বাবার ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছিল এরশাদ মিয়া। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ী থেকে নেমে দোকান থেকে খাওয়ার কেক ক্রয়করে ফেরার সময় কিশোর হাসানের শরীরে গাড়ি লাগিয়ে দেয় এরশাদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসান এরশাদকে চড় মারে ও গালিগালাজ করে। পরে হাসান গাড়ি চালকের নিকট কয়েকবার ক্ষমাও চেয়েছিলো। কিন্তু এরশাদ তাকে ক্ষমা করেননি। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর জরুরী কথা আছে বলে হাসানকে নির্জন পাহাড়ী টিলায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এরশাদ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম স্কুল ছাত্র আব্দুল্লাহ হাসানের বাবার ব্যাক্তিগত গাড়ীচালক এরশাদ আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুল্লাহ হাসান সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন মনির আহমদ একাডেমিতে ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করত। হত্যাকারী মোঃ এরশাদ তাকে ঐ স্কুল থেকে আনা নেয়া করত। ২০১৭ সনের অক্টোবর মাসে বড়লেখা হতে ভিকটিম আব্দুল্লাহ হাসানকে মনির আহমদ একাডেমিতে নিয়ে যাওয়ার পথে গোলাপগঞ্জ থানাধীন চন্দরপুর পেট্রোল পাম্পের নিকট দোকান থেকে কেক ও ঠান্ডা কেনার জন্য গাড়ী থামায়। দোকান কেক আনার সময় কিশোর হাসানের শরীরে গাড়ি লাগিয়ে দেয় এরশাদ। এ সময় হাসান এরশাদকে চড় মারে ও গালিগালাজ করে। এতে এরশাদের মনে ক্ষোভ জন্মে। এ থেকেই সে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। এরশাদ ঠান্ডা মাথায় পূর্বপরিকল্পনা মতে এ হত্যাকান্ড ঘটালেও থেকেছিল সন্দেহের উর্ধ্বে। গত ১৯ মে শনিবার থাকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরশাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেলে ৩ দিনের মধ্যে লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি প্রদান করে।’ হত্যার কথা স্বীকার করে ২৩ মে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বড়লেখায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার কয়েকটি কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করে আমরা তদন্ত করি। এর মধ্যে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আত্মগোপন করে। ঘটনার রাতে গাড়ি চালক এরশাদ সচরাচর যেখানে ঘুমায় সেখানে না ঘুমিয়ে অন্যস্থানে ঘুমিয়েছে। হত্যাকান্ড ঘটনার কয়েকদিন আগেই স্ত্রী-সন্তানদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া। ঘটনার পর চাকুরী ছেড়ে দেয়া, মূখে দাড়ি রাখে। এসব সন্দেহজনক কারণে তাকে আটকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঞ্চল্যকর

১৪ অক্টোবর, ২০২১
১৮ জানুয়ারি, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ