রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা
গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের নাগেরচর ভোট কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল চেয়ারম্যান (৫০) হত্যা মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ। এদিকে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস-২ আবদুল মতিন খান, তিতাস উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বিএনপির সেক্রেটারী সালাউদ্দিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান ভুলু, ছাত্রদল সভাপতি মনির হোসেন ভূইয়া ও হান্নানকে আসামি করায় মামলা নিয়ে তিতাসের রাজনীতিক, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা-পর্যালোচনা, চলছে তর্ক-বিতর্ক। এলাকাবাসীর দাবি কামাল হত্যা মামলায় অনাহূত এসব ব্যক্তিদেরকে আসামি করা হয়েছে। তারা কেউই বলরামপুর ইউ নিয়নের বাসিন্দা নন। এর মধ্যে মতিন খান ও সালাউদ্দিন নির্বাচনের দিন তিতাসে ছিলেন না। আর মিজানুর রহমান, মনির হোসেন ও হান্নান তারা তাদের ইউনিয়নের স্ব স্ব কেন্দ্রে ছিল। এসব বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে একদিকে মামলার আসামি থেকে বাদ দেয়ার এবং মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তুমুল ঝড় তুলছে। অপরদিকে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় অনারও দাবি জানাচ্ছেন। এলাকাবাসী বলছে, প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতেই নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তিদেরসহ ৯৫ জনকে আসামি করে এই রহস্যজনক মামলা দয়ের করা হয়েছে। তবে এ মামলার পিছনে একটি তৃতীয় পক্ষ কাজ করছে বলেও এলাকায় চাউর উঠেছে। সব মিলে এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি নিয়ে এক অজানা রহস্যের জট বেঁধেছে। ফলে কামাল হত্যার আসল রহস্য উদঘাটনে সন্দিহান এলাকাবাসী। এলাকার নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের দিন মতিন মিয়া ও সালাউদ্দিন সরকার তিতাসে ছিলেন না। এছাড়া ওইদিন মিজানুর রহমান, মনির হোসেন তিতাস উপজেলা সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী আলী হোসেন মোল্লার এজেন্ট ছিল আর হান্নান একই কেন্দ্রের নৌকা মার্কার এজেন্ট ছিল। এদিকে কামাল চেয়ারম্যানকে আহত অবস্থায় তিতাস হাসপাতালে নিয়ে আসার খবর পেলে তারা তিতাস হাসপাতালে কামালকে দেখতে যায়। কেননা আসামী মিজান ও মনির নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে কামালকেই সমর্থন করেছিল বলে বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন বলরামপুর ইউনিয়নের নাগেরচর কেন্দ্রে যাওয়ার পথে কামাল চেয়ারম্যান ও প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় দু’পক্ষের মাধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে কামাল চেয়ারম্যান মারা যান। ২৯ মে নিহতের স্ত্রী আসমা কামাল বাদি হয়ে ৯৫ জনকে আসামি করে তিতাস থানা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।