পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডায় কোরবানির পশুরহাটের চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই চাঞ্চল্যকর চার খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমেরিকা প্রবাসী বাড্ডার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর নির্দেশে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত উজ্জ্বল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একথা স্বীকার করে। গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে বাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্প এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন বাড্ডার ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুদ্দিন মোল্লা ও ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ মানিক। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে মারা যান। ওই বছরের ২৩ আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় গ্যারেজ মালিক ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবদুস সালামের। এ ঘটনায় নিহত গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ২০১৩ সালে মাহবুবুর রহমান গামা আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট সাড়ে ৫ কোটি টাকায় ইজারা নেন। এই নিয়ে বাড্ডার স্থানীয় সন্ত্রাসী ভাগ্নে ফারুক ও আমেরিকা প্রবাসী মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। পরের বছর গামা স্থানীয় ভাগ্নে ফারুক গ্রুপের চাপে আফতাবনগর পশুর হাট ইজারা নিতে পারেননি। ২০১৩ সালের হাট ইজারা বাবদ সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো তার কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই চাঁদার টাকা কমানোর জন্য গত বছরের ৩ মে বাড্ডা জাগরণী সংসদ ক্লাবে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর একটি বৈঠক হয়। ঐ বৈঠক চলাকালে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন রাহিনকে। ২০১৫ সালের আগস্টে কোরবানির পশুরহাট ইজারার টেন্ডার দেয়া হলে মাহবুবুর রহমান গামা আবারও ঐ হাট ইজারা নেয়ার উদ্যোগ নেন। আগের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় এবং নতুন করে আবারও হাট ইজারার উদ্যোগ নিলে ভাগ্নে ফারুক গ্রুপ গামাকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে। এর জের ধরেই আরিফ, পবন, রমজান,মান্নান, পুলকসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে আদর্শনগর পানির পাম্প এলাকায় গামাসহ ৫/৬ জনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
ডিবির হাতে গ্রেফতার উজ্জ্বল ছিলেন নিহত গামার সহযোগী। উজ্জ্বলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঘাতকদের কথোপকথন হয়েছিল। ডিবি সন্দেহ করছে, গামার অবস্থান জানানোর জন্য উজ্জ্বল ঘাতকদের মোবাইল ফোনে ফোন করেছিল। এর আগে এ বছরের ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ চার খুনের ঘটনায় অস্ত্রসহ জুয়েল, সোহাগ, নাহিদ, কাব্য, ইকবাল ও রাজকে গ্রেফতার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।