Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঞ্চল্যকর ৭ খুন

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডিভিশন বাতিল করে পরানো হয়েছে কয়েদির সাদা-কালো পোশাক
২৬ মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত কাশিমপূর ও না’গঞ্জ কারাগারের কনডেম সেলে
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাঈদসহ পাঁচজনকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে রায়ের পর কারাগারে ফিরিয়ে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তাদের কনডেম সেলে নেওয়া হয়। কারাবিধি অনুযায়ী, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে রাখা হয়। দন্ডিত হওয়ায় তাদের ডিভিশন বা বিশেষ সুবিধা বাতিল করে পরানো হয়েছে কয়েদির সাদা-কালো পোশাক। এখন থেকে সাধারণ বন্দির মতোই খাবার জুটবে তাদের। এ ছাড়া মৃত্যুদ- পাওয়া অন্য আসামিদেরও কনডেম সেলে রাখা হবে।
পাঁচজনের মধ্যে নূর হোসেন ও তারেক সাঈদ ছাড়া বাকিরা হলেন- র‌্যাব-১১ এর ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) মেজর আরিফ হোসেন, ক্যাম্প কমান্ডার (বরখাস্ত) লে. কমান্ডার মাসুদ রানা ও ল্যান্স নায়েক (বরখাস্ত) বেলাল হোসেন।
কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী দন্ডিত হওয়ার পর ডিভিশন কার্যকর থাকে না। তাই তাদের এখন সাধারণ ফাঁসির আসামি হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি হওয়ায় তাদের প্রতি বাড়তি নজরদারিও থাকবে।
এর আগে সোমবার সকাল ৭টার দিকে দুইটি প্রিজন ভ্যানে করে কড়া প্রহরায় তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন ওই পাঁচজনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদ- এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ওই পাঁচজনসহ ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার ১২ আসামি পলাতক রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বাকি ১৮ আসামিকে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও ছয়জন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-প্রাপ্ত। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য নির্ধারিত কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আসামি র‌্যাবের আরিফ হোসেন এবং মাসুদ রানাকে এ কারাগারে আনা হয়।কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, তার কারাগার থেকেও ওই মামলার তিন আসামি র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেনকে আনা হয়। রাতেই তাদের ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।
৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ