Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জে. বাজওয়াকে ভারতের আমন্ত্রণ জানানো উচিত : সাবেক ‘র’ প্রধান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক প্রধান এ এস দৌলত তার দেশের সরকারের প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া আলোচনা ফের শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক আইএসআই প্রধান লে. জেনারেল আসাদ দুররানির সঙ্গে যৌথভাবে লেখা বই ‘দি স্পাই ক্রনিকলস : র, আইএসআই এন্ড দি ইল্যুসন অব পিস’ উদ্বোধনের আগে এনডিটিভি’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে দৌলত বলেন, বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক ও কৌশলগত ক্ষেত্রে একটি নতুন বাঁক তৈরি হয়েছে। ‘আমরা কি কয়েকদিন আগেও ভাবতে পেরেছি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে কথা বলবেন? তাই আমাদেরকে ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে ভাবতে হবে। জেনারেল বাজওয়াকে আমন্ত্রণ জানান এবং দেখুন কি হয়।’ দুই লেখকই বলছেন যে জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি ঝুলে থাকা ফলের মতো, যা সহজেই পারা যায়, যেমন ভিসা সহজ করা ও ক্রিকেট সম্পর্ক শুরু করা। পাকিস্তানের নিজ বাসভবন থেকে জেনারেল দুররানি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মনমোহন সিং ও ইউসুফ রাজা গিলানির মধ্যে সার্ম-আল-শেখের বৈঠকের পর একটি যুগান্তকারী চুক্তি হয়েছিলো। কিন্তু আমলারা তা নস্যাৎ করেন। “জয়েন্ট এন্টি-টেরর ম্যাকানিজমের ওই চুক্তি দু’দেশের জন্যই একটি মহান অর্জন হতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি।” এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা বইটিতে জেনারেল দুররানির লেখা উদ্ধৃত করে লিখে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের পাকিস্তান থাকার অভিজ্ঞতা তাকে এমনভাবে আক্রান্ত করেছে যে তিনি মনে করেন দেশটিকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। ২০০৫ সালে অবসর গ্রহণের আগে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দোভাল সম্পর্কে দুররানি লিখেন: তিনি নীতি বদলাননি। তিনি আরো কট্টর হয়েছেন তবে আমি মনে করি যে এটাই ভারতের দীর্ঘ দিনের নীতি। তিনি ট্রাম্পের মতো অনেক চিৎকার করেন। তিনি আলোচনায় মসলা যুক্ত করেন। স্থানীয় পত্রিকাগুলোর খবরে বলা হয় যে, বইটি উদ্বোধন করতে জেনারেল দুররানিকে দিল্লি যাওয়ার ভিসা দেয়া হয়নি। দোভালের আচরণকে তার ১৯৮০’র দশকে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনে দায়িত্ব পালনের সময়কালের সঙ্গে তুলনা করেন। তবে দৌলত তার সহকর্মী ও ভালো বন্ধু এবং মোদি’র দৃঢ় সমর্থক দোভাল সম্পর্কে বলেন: তিনি আমাদের অসাধারণ অপারেশনাল গাইদের একজন। তিনি মাঠের মানুষ। দৌলত আরো বলেন যে দোভাল একান্তভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কট্টর, তেমনটা নন। তিনি শুধু মোদির পথে হাটছেন। তিনি মনি দিক্ষিতের পথেও হাটেন। একসময় তিনি এম কে নারায়ানানের পথে হেটেছিলেন। তার মধ্যে প্রত্যয় জন্মেছে যে ভারতের জন্য মোদি হলেন একজন মহান ব্যক্তি, যার পক্ষে আমি স্বাক্ষ্য দিতে পারি। জেনারেল দুররানি তার বইতে লিখেন, “মোদির মতো দোভালও এখন ম্যাটার করে। আমি মনে করি তিনি স্মার্ট এবং আরেকটি প্রদর্শনীর সুযোগ তিনি ছাড়বেন না।’ এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ