Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত

মংলা পোর্ট সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

একটি শিশুকে চড়মারাকে কেন্দ্র করে মংলায় একটি গ্রামে দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী পুরুষসহ অন্তত ৫০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ।যে কোন সময় আবারও সংঘষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, গত রোববার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামে এক শিশু পুত্র সাগর (১৪)কে চড়মারে একই এলাকার আলমগীর হোসেন। এদিনই শিশুটির মা ইয়াসমিন এ ঘটনায় মংলা থানায় অভিযোগ করেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সোমবার ভোর সাড়ে ৬টায় আলমগীরের পক্ষ অবলম্বন করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম ও হাসেমের নেতৃত্বে ২০-২৫জনের এটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘুমন্ত শিশুটির পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে এলাকার অন্যরাও প্রতিহত করতে এগিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে অন্তত নারী পুরুষসহ ৫০জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ২১ জনকে মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দুপুরে মধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তবে গতকাল সোমবার দুপুর নাগাত আহদের মধ্যে গর্ভবর্তী রিনার অবস্থার আবনতি ঘটলে খুলনা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। আহত ইয়াসমিন জানান, একই এলাকার আলমগীর হোসেন তার শিশু পুত্র সাগর (১৪)কে রোববার চড়মারে। এদিনই এ ঘটনায় মংলা থানায় অভিযোগ করেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬টায় আলমগীরের পক্ষ অবলম্বন করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম ও হাসেমের নেতৃত্বে ২০-২৫জনের এটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘুমন্ত শিশুটির পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে এলাকার অন্যরাও প্রতিহত করতে এগিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হাসপাতালে ভর্তি আহত আফজাল জানান, তাদের উপর যারা হামলা করেছে তারা সন্ত্রাসী।এলাকাবাসী ও পুলিশ তাদের ভয় পায়।
মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্স এর টিকিৎসা কর্মকর্তা ডা: মো: রাফিউল হাসান জানান,উভয়ের মধ্যে সংঘসের পর হাসপাতালে ২১ জন ভর্তি হয় ।এর মধ্যে এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । এ ব্যাপারে মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষে জড়িত উভয়পক্ষই মংলা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে পুলিশ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুচ্ছ ঘটনাকে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ