Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এ বর্ষাতেও রাজধানীতে পানিবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কা বিশেজ্ঞদের

রাজধানীর খালগুলো ময়লার ভাগাড় পানিবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেই

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সায়ীদ আবদুল মালিক : সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে নগরবাসীকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় রাজধানীর খাল, ঝিল, জলাশয় ও লেকগুলো হয়ে উঠেছে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। দিন দিন ময়লা আবর্জনা ফেলে আসাধু চক্র সরকারি এ খালগুলো দখল করে নিচ্ছে। দুই সিটি কর্পোরেশনের হিসাব মতে প্রতিবছরই এই খাল ও জলাশয়গুলোর আয়তন কমছে। সঠিক তদারকির অভাবে রাজধানীর খালগুলো দখল দুষণে আজ প্রায় বিলিন। যে কারণে সামান্য বৃষ্টির পানিও সরতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এতেই সৃষ্টি হয় জনভোগন্তির।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লোক দেখানো কিছু উদ্যোগ ছাড়া, রাজধানীর খালগুলো পরিস্কার ও উদ্ধারে সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়াসার নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। তাই এ বর্ষাতেও রাজধানীতে পানিবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছেন নগর বিশেজ্ঞরা। তাদের মতে, এ খাতে প্রতি বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও এর থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না নগরীরর বাসিন্দারা। রাজধনীর পানিবদ্ধতা নিরসনের সাথে সরকারের সাতটি সংস্থা ৬টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাদের সমন্বয়হীনতাই এই নগরীরর পানিবদ্ধতার প্রধান কারণ বলে তারা মনের করেন। এছাড়াও অন্যতম কারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রেনেজ ও নর্দমা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা। খাল ও জলাধারগুলো বেদখল। ২৬০ বর্গকিলোমিটার প্রয়োজনের বিপরীতে ড্রেনেজ লাইন রয়েছে মাত্র ১৫০ বর্গকিলোমিটার। বিভিন্ন সংস্থার ইচ্ছেমতো রাস্তা খুঁড়াখুঁড়ি। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা। বাসা-বাড়ির ময়লা সময়মতো অপসারন না করা। উম্মুক্ত স্যুয়ারেজ লাইনে অপচনশীল ময়লা ফেলা। নির্মাণাধীন বাড়ির রাবিশ-বালু বৃষ্টিতে গড়িয়ে ড্রেনে পড়া। অধিকাংশ এলাকায় স্যুয়ারেজ লাইন সরু থাকা। ঢাকা বন্যামুক্ত ও পানিবদ্ধতা দূরীকরণে গৃহীত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়া।
প্রতি বছরই রাজধানীর পানিবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ ঢাকা ওয়াসা ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে থেকেন, যা প্রায় বছরজুড়েই চলে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ড্রেনের ময়লা ঘুরে-ফিরে আবার ড্রেনে গিয়েই পড়ে। নগরবাসীর অভিযোগ, এতে শুধু বছর বছর বাজেট করা আর খরচ করা। এর বাইরে আর কছুই নয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন রাজধানীর পানিবদ্ধতা নিরসনের সমন্বয়হীনতার স্বীকার করে ইনকিলাবকে বলেন, পানিবদ্ধতা ও খোঁড়াখুড়িসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ৫৬ সংস্থার প্রতিনিধি সভা আহবান করা হলে দুই তিন জন প্রতিনিধি আসেন। এছাড়া সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এমন কাউকে পাঠানো হয়, যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এরমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের কেউ-ই সভাতে আসেন না। যদি এমন হয়, তাহলে সমস্যাগুলোর সমাধান হবে কিভাবে?
আসন্ন বছর বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে পানিবদ্ধতা নিরশনে ঢাকা ওয়াসা কি কি পদক্ষে নিয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার জনসংযোগ বিভাগ থেকে ইনকিলাবকে জানান তাদের নেয়া পদক্ষেপগুলোর কথা। যারএর মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খাল, রূপনগর খাল, বাউনিয়া খাল, দেব-দোলাই খাল, সেগুনবাগিচা খাল ও মান্ডা খালে ৩০ কি. মি. পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করেছে। স্টর্ম ওয়াটার পাইপ ড্রেন ক্লিনিং করেছে ২৪৯ কি. মি.। জরুরি স্ট্রর্ম ওয়াটার পাইপ ড্রেন মেরামতের কাজ করেছে। এর মধ্যে ম্যানহোল কভার ফিটিং, ম্যানহোল ¯øাব উচুকরণ, মধ্যবর্তী ম্যানহোল নির্মাণ, ম্যানহোল ¯øাব পুনঃনির্মাণ, পাইপ লাইনের ওভারফ্লো, প্রতিবন্ধকতা অসারণ ইত্যাদি কাজ রছেছে। ক্যাচপিট নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ ৭০০টি, মধ্যবর্তী ম্যানহোল নির্মাণ ১২টি। সেগুনবাগিচা বক্সকালভার্টেও ¯øাজ, ময়লা অপসারণ করেছে ১৪ হাজার ৩০০ ঘনমিটার। স্থানীয় পাম্পিং স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণ করেছে ৪টি। এর মধ্যে, ধোলাই খাল ২২ কিউমেক, কল্যাণপুর ২০ কিউমেক, রামপুরা ২৫ কিউমেক, কমলাপুর ১৫ কিউমেক। এছাড়া গোড়ান চটবাড়ি (পাউবো) এর ৪৪ কিউমেক। অস্থায়ী পাম্পিং স্টেশন স্থাপন করেছে ১৫টি। এছাড়া বৃষ্টির সময় ম্যানহোল কভার খুলে দেয়া এবং ক্যাচপিট পরিষ্কার করার জন্য বর্ষাকালীন সময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ওয়াসার উল্লেখিত প্রকল্পগুলো সরেজমি ঘুরে ওয়াসার দেয়া কাজের হিসেবের সাথে বস্তবে তেমন একটা মিলে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু প্রকল্পের কাজ চলতে দেখা গেলেও তা পর্যাপ্ত বলে মনে হয়নি।
নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানিবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ সিস্টেমকে একক কর্তৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। সংশ্লিষ্ট ১৪টি সরকারি সংস্থাকে নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে মহাপরিকল্পনা তৈরি এবং সে অনুযায়ী কাজে নেমে পড়তে হবে। এছাড়া পানিবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে।
নগর পরিকল্পনাবিদ এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বয়হীনতাই রাজধানীর পানিবদ্ধতার বড় কারণ। আইন না মেনে অবৈধ দখল এবং জলাশয় ভরাটও এজন্য দায়ী। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্যুয়ারেজ কিংবা ড্রেনেজ সিস্টেম নষ্ট করে অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ, বক্স কালভার্ট ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না রাখা এবং নগরবাসীর অসচেতনতার কারণেও এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে।
জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীর মাত্র ৪৫ শতাংশ এলাকা ড্রেনেজ সিস্টেমের আওতায় এসেছে। বাকি ৫৫ শতাংশ এলাকা এখনো এ সিস্টেমের বাইরে রয়ে গেছে। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসার প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার ড্রেনেজ পাইপলাইন রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন। এর বাইরে দুই কর্পোরেশনের রয়েছে আরো আড়াই হাজার কিলোমিটার ভূ-উপরিস্থ (সারফেজ) ড্রেনেজ লাইন। ওয়াসার দাবি, ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা বর্তমান ড্রেনেজ ব্যবস্থা ধারণ করতে পারে। কিন্তু বর্ষায় ধারণক্ষমতার প্রায় পাঁচ গুণ বেশি বৃষ্টি হয় সচরাচর। ফলে পানিবদ্ধতা থেকে সহসা নিস্তার মিলছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি এবং নিরসনের সাথে সাতটি সংস্থার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এ সব সংস্থা হলো রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি), পরিবেশ অধিদফতর, ভূমি অধিদফতর, রেল কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই সাতটি সংস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে ৬টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। পূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজউক। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা ওয়াসা ও ডিসিসি। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ অধিদফতর। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভূমি অধিদফতর। রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেল কর্তৃপক্ষ। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই সাতটি সংস্থার একক সিদ্ধান্ত ও অসমন্বয়ের কারণে নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এমনকি নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে আজ পর্যন্ত এ সাতটি সংস্থা এক সাথে বসে কোনো ধরনের আলোচনা পর্যন্ত করেনি। ফলে আজ নগরীর পানিবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করছে। এ ক্ষেত্রে রাজধানীর নিম্নাঞ্চল মেরাদিয়া, বাড্ডা, মান্ডা, মানিকদি, বাসাবো, মুগদা, পল্লবী ও ডিএনডি বাঁধ এলাকার বসবাসকারীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে রাজধানীর পানিবদ্ধতার জন্য এই সাতটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমে রয়েছে অব্যবস্থাপনা ও দূরদর্শিতার অভাব। এই সাতটি প্রতিষ্ঠান ছয়টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় পানিবদ্ধতা নিরসনে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটে না। এক প্রতিষ্ঠান স্থাপনা উচ্ছেদ করলে আরেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। পানিবদ্ধতা সৃষ্টির দায়ভার তারা পরস্পরের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তবে পানিবদ্ধতার অন্যতম কারণ হলো ২৬০ বর্গকিলোমিটার প্রয়োজনের বিপরীতে নগরীতে ড্রেনেজ লাইন রয়েছে ১৫০ বর্গকিলোমিটার। বছরের পর বছর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ লাইনের বিরাট অংশ ভেঙে গেছে কিংবা ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। খাল, বিল ও জলাধারগুলো বেদখলে নিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে অপরিকল্পিত রাস্তা এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক শিল্পকারখানা। ঢাকা বন্যামুক্ত ও পানিবদ্ধতা দূরীকরণে গৃহীত প্রকল্পটিও ২৩ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর যেসব এলাকায় ড্রেনেব্যবস্থা রয়েছে সেখানেও অন্তত ৫০ শতাংশ ড্রেন ময়লা-আবর্জনা জমে বন্ধ থাকে। প্রতি বর্ষা মৌসুমের আগে নামেমাত্র ড্রেন ও বক্স কালভার্টগুলো পরিষ্কার করা হয়। পরবর্তীকালে ওই ময়লাই আবার ড্রেনে পড়ে। এ ছাড়া ফুটপাতে থাকা অসংখ্য টং দোকানের আবর্জনাও ড্রেন বন্ধের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া, রাজধানীতে বছরজুড়েই চলে রাস্তা মেরামত। এসব মেরামত-সামগ্রীও ড্রেনে পড়ে ম্যানহোল ও পাইপ ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর একটি পয়েন্ট বন্ধ হলেই পুরো ড্রেনের প্রবাহ অচল হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, বছরে যে ৫৬ কোটি ঘনলিটার পানি রাজধানী থেকে নিষ্কাশিত হয়, তার মধ্যে বৃষ্টির পানি হচ্ছে ২৩ কোটি ঘনলিটার। রাজধানী ঢাকায় যেখানে ২৬০ বর্গকিলোমিটার পানি নিষ্কাশন লাইন থাকা দরকার, সেখানে আছে মাত্র ১৫০ বর্গকিলোমিটার। নগরীতে রয়েছে স্টর্ম ওয়াটার লাইন ২৪০ কিলোমিটার, বক্স কালভার্ট ৮ কিলোমিটার, খোলা খাল ৬৫ কিলোমিটার। নগরীর পানি পাম্পিং স্টেশনগুলোর ক্ষমতা সীমিত। ধোলাইখাল স্টেশনের প্রতি সেকেন্ডে পাম্পিং ক্ষমতা ২২ ঘনলিটার, কল্যাণপুর পাম্পিং স্টেশনের ১০ ঘনলিটার, গোড়ান চটবাড়ি পাম্পিং স্টেশনের ২২ ঘনলিটার ও ডিএসসিসির নারিন্দা স্টেশনের পাম্পিং ক্ষমতা ৯ দশমিক ৬ ঘনলিটার। নগরীর সম্পূর্ণ উপরিভাগের আনুমানিক ২০ হাজার কিলোমিটার ড্রেন এবং ২০০ কিলোমিটার স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব ডিসিসির। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জমা হওয়া পানি নগরীর বাইরে বের করে দেয়ার জন্য ২৫০টি পাম্প ব্যবহারের কথা বলা হলেও সচল পাম্পের সংখ্যা ১৫৬টির বেশি হবে না, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্ষা

৩ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ