পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : একটি মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির এক ভারতীয় কর্মী খুবই আপত্তিকর এবং বিদ্বেষপূর্ণ ভাষায় পোস্ট করা কিছু টুইটে কাশ্মীরি মুসলমানদের হত্যা এবং ধর্ষণে সমর্থন এবং উস্কানি দেয়ার পর তার চাকরি গেছে।
আশীষ কাউল নামের এই ভারতীয় কাজ করতেন মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি ডেডেভলপমেন্ট ডাইমেনশন্স ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিতে। তিনি নিজেও কাশ্মীরী পন্ডিত।
কাশ্মীরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার পোস্ট করা তীব্র ঘৃণা এবং বিদ্বেষপূর্ণ কয়েকটি টুইট নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছিল।
আশীষ কাউল একটি টুইটে লিখেছিলেন, “কাশ্মীরি মুসলমানদের অর্থনৈতিকভাবে হত্যা করা দরকার, যাতে তারা মুখের খাবার জোগানোর জন্য নিজেদের স্ত্রী-কন্যাদের দিল্লি, মুম্বাই বা চেন্নাইতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়!”
তার আরেকটি ট্ইুট ছিল, “কাশ্মীরের নারীদের যখন রাস্তায় কাঁদতে দেখি, আমার ভালোই লাগে। আহা কত নিম্পাপ, নিরপরাধ! গত এক বছরের নিহতের তালিকা কি বলে? দু:খিত, গত ২৮ বছরের? হা হা হা, স্বাধীনতা বলে আওয়াজ দাও!”
আশীষ কাউলের এসব টুইট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। যে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিতে তিনি কাজ করেন, সেই ডিডিআই’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ নিয়ে টুইট করেন কয়েকজন। এরপরই ডিডিআই তাদের কর্মী আশীষ কাউলকে বরখাস্ত করে।
ডিডিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টি তাদের নজরে আনার সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘এসব পোস্ট দেখে আমরা স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ। এসব কথাবার্তা আমাদের মিশন এবং মূল্যবোধের সম্পূর্ণ লংঘন। যখনই আমরা এই বিষয়ে জানতে পেরেছি, আমরা সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বরখাস্ত করেছি এবং পুরো বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। গত ১২ই মে আমরা তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। পোস্টে এই ব্যক্তি যেসব মন্তব্য করেছেন সেসব তার ব্যক্তিগত মত, এবং এগুলো ডিডিআই এর মূল্যবোধ প্রতিফলন করে না।”
ডিডিআই এই পদক্ষেপ নেয়ার পর একে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। নিধি রাজদান নামে একজন লিখেছেন, এই ঘটনা অন্যদের সতর্কবার্তা দেবে এটাই আশা করি।
তবে সবাই যে আশীষ কাউলের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থায় খুশি তা নয়। হরি ওম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘প্রিয় হিন্দুরা, এখন আর ঘুমানোর সময় নেই। এখন আশীষ কাউলের পাশে দাঁড়াতে হবে। যাকে কিনা তার টুইটের কারণে একটি মার্কিন কোম্পানি তার পদ থেকে অপসারণ করেছে। কাশ্মীরের যে মুসলিমরা ধর্ষণ, হত্যায় লিপ্ত তাদের কি যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোন দেশ কিছু করেছে?”
কয়েকটি ভারতীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হচ্ছে, কাশ্মীরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং সহিংসতায় উস্কানি দেয়া বক্তব্যের কারণে সেখানকার পুলিশ আশীষ কাউলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।