Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিএনএলএ-সেনা সংঘর্ষে মিয়ানমারে নিহত ১৯

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের শান প্রদেশে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার সর্বশেষ সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। মিয়ানমারের সামরিক সূত্র জানায়, সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই ডজন মানুষ। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজে সহযোগিতাকারী স্থানীয় এক এনজিও কর্মকর্তা থাউং তুন জানান, নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা, এক বিদ্রোহী যোদ্ধা, সরকার সমর্থিত ৪জন মিলিশিয়া ও দু’জন বেসামরিক নারী রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও আশ্রয়ের জন্য সশস্ত্র মানুষের দৌড়ানোর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা জানান, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় যখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে তখন চীন সীমান্তে কাছে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। খবরে বলা হয়, শনিবারের সংঘর্ষ হয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ)। দেশটির উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামকারী সংগঠনের একটি হচ্ছে এই সংগঠন। টিএনএলএ মুখপাত্র মেজর মাই আইক কিয়াও জানান, শনিবার ভোর ৫টা থেকে লড়াই শুরু হয়। লড়াই হয় মিউজের দুটি সামরিক ঘাঁটি এবং লাশিও শহরমুখী একটি ব্রিজে। মুখপাত্র জানান, শান প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় দুটি শহরে সংঘর্ষ হয়েছে। ২০১১ সালে মিয়ানমারের কাচিন ও শান প্রদেশে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে সংঘাতের মুখে অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহারা হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। সহিসংতা থেকে পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষদের বেশির ভাগই খ্রিস্টান ধর্মালম্বী। তারা কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সেনাবাহিনী এসব মানুষের ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। র‌্যাপলার, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ