Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরানি তিন কোম্পানি ও ছয় ব্যক্তির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ

নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানের ওপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ৮:০৩ পিএম

ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছয় ইরানি ও তিন কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুই দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দিল। মার্কিন ডলারে আইআরজিসির প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে সহায়তা করায় ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও এ নিষেধাজ্ঞায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যেসব ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, ট্রেজারি বিভাগ তাদের নাম প্রকাশ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোই আইআরজিসির জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করছে। যা দিয়ে ইরান মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রভাব বিস্তার ও ‘ক্ষতিকারক কার্যক্রম’ চালাচ্ছে; ওই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এ শাস্তি, জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন। পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের ওপর নতুন করে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে ৯০ থেকে ১৮০ বা এর চেয়েও বেশি দিন লাগতে পারে বলে ধারণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তার আগেই আইআরজিসির সঙ্গে সম্পর্কের অজুহাতে ছয় ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তেহরানের ওপর চাপ বাড়াবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ইরানি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না মার্কিন নাগরিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি ও কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্যে বাধা দেওয়া হবে। “আঞ্চলিক বিভিন্ন গোষ্ঠীকে অর্থ ও অস্ত্র দেওয়াসহ আইআরজিসির নানা ধরনের ক্ষতিকারক কার্যক্রমে সহায়তা করতে ইরানের শাসকগোষ্ঠী ও এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে মার্কিন ডলার সংগ্রহ করছিল। আইআরজিসির রাজস্বের উৎস ও গন্তব্যের প্রবাহ বন্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্যে,” বিবৃতিতে বলেন মনুচিন। ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতিরক্ষায় ১৯৭৯ সালে আইআরজিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ইরানের অন্যতম বৃহৎ সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সুনির্দিষ্টভাবে আইআরজিসির বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সকেই লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টানতে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে দশ বছর মেয়াদী একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ইরান। চুক্তি অনুযায়ী গত তিন বছর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার পাশাপাশি তেহরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও পরিদর্শকদেরও নিয়মিত অনুমতি দিয়ে এসেছে। বারাক ওবামা আমলে স্বাক্ষর হওয়া ওই চুক্তি নিয়ে প্রথম থেকেই সমালয়োচনা মুখর ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় চুক্তিটি ‘ক্ষয়ে ও পচে গেছে’ উল্লেখ করে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসা এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানান এ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ