পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নতুন বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স কমানো, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা জাতীয়করণ, স্কুল বাসের ঘোষণাসহ আসছে বাজেটে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন। এছাড়াও উদ্যোক্তা হতে বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে বাজেটে।
গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন-ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রাক-বাজেট আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটি এবং সাবেক সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বাড়ানো হবে। এছাড়া, বর্তমানে দেশে করপোরেট ট্যাক্স খুব বেশি। নতুন বাজেটে এটা কিছুটা কমানো হবে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামোখাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার থাকবে মানবসম্পদ উন্নয়নে, সমান গুরুত্ব পাবে শিক্ষা ও স্যনিটেশনে।
অর্থমন্ত্রী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রাথমিকে আমাদের দক্ষ শিক্ষক রয়েছে। উচ্চশিক্ষার অবস্থাও ভালো। তবে মাধ্যমিকে দুরবস্থা চলছে। আগামীতে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলে মাধ্যমিক পুরোটাই সরকারিকরণ করা হবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হয়েছে বলে জানান মুহিত। তবে, আগামী বাজেটে স্কুল বাস নামানোর বিষয়ে ঘোষণা থাকবে বলে জানান তিনি।
তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তা হতে বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে হরতাল, নাশকতার মতো বিষয়গুলো বিতাড়িত হয়েছে। গত তিন বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে। এখন আমাদের মানবসম্পদের ওপর গুরুত্ব দিতে আগামী বাজেটের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
জেলা বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন আর জেলা বাজেটের ওপর গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি না। তিনি বলেন, আমার মনে হয় আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত। তারপর আমরা কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ের বাজেট বাস্তবায়নের একটি দিক নির্দেশনা দেব।
কালো টাকা এবং বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বছরের যেকোনো সময়ে ২৫ শতাংশ কর দিয়ে যে কেউ অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করতে পারে। আর বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে যেভাবে বলা হয়, আসলে তত টাকা পাচার হয় না। একটা সময় মালয়েশিয়া বা দুবাইতে পাচার হতো। এখন উভয় দেশের সরকারও চায় না অর্থ পাচার হয়ে আসুক।
চলতি অর্থবছরের বাজেটকে নিজের শ্রেষ্ঠ বাজেট বলার পর এবারের বাজেট কেমন হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেট হবে শ্রেষ্ঠতম।
চিনিশিল্প অর্থমন্ত্রী বলেন, পুরোপুরি আখের ওপর নির্ভরশীল নয়। এই শিল্পকে ট্যারিফ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অথচ বিদেশ থেকে আমদানি করলেই আমরা এই চিনি কম দামে পেতে পারি। কাজেই আমার মতে, চিনিশিল্প রাখা উচিত নয়।
সঞ্চয়পত্রের সুদ হার পুনর্নিধারণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সামাজিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কাজ করে। তাই বাজারে যদি কেউ সুদ ১০ শতাংশ পায় তাহলে আমরা সঞ্চয়পত্রের সুদহার সাড়ে ১০ বা ১১ করে দেই। এখন পার্থক্যটা হয়ে গেছে সাত আর সাড়ে ১১ শতাংশ।
এ সময় মন্ত্রীর পাশে বসে থাকা এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বর্তমানে ব্যাংক ঋণে সুদহার বেড়ে ১০ কাছাকছি হয়েছে জানালে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাহলে তো সঞ্চয়পত্রের সুদ হার পুনর্নিধারণ করার প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, বর্তমানে বৈষম্য বড়েছে। তবে একটা বড় অংশ দারিদ্রের হাত থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন আমি যে কোনো মুহূর্তে অবসর নিতে প্রস্তুত। একান্ত তৃপ্তির সঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।