Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশি বাহিনীতে নেপালিদের যোগদানের বিপক্ষে সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ৮:৩৫ পিএম

নেপালের ক্ষমতাসীন সিপিএস-ইউএমএল ও সিপিএন-মাওবাদী কেন্দ্রের গঠিত টাস্কফোর্স নেপালি তরুণদের বিদেশি বাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।ভারত ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং সিঙ্গাপুর পুলিশে বর্তমানে ৪৪ হাজারের মতো নেপালি নাগরিক কর্মরত।অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে তৈরি করা টাস্কফোর্সের কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ‘নেপালের নাগরিকদের কোনো বিদেশি সেনাবাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করতে হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি সামাল দেবে উল্লেখ করে সুপারিশে বলা হয়, নেপালি নাগরিকদের বিদেশি বাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে ইতোপূর্বে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে রদ করতে হবে। টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক ও ইউএমএল ভাইস প্রেসিডেন্ট বামদেব গৌতম এ রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ও সিপিএন-এমসি নেতা পুষ্প কমল দহলের কাছে জমা দিয়েছেন।বামজোটের এক নেতা বলেন, নেপাল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য। তাই সে তার নাগরিকদের বিদেশি বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দিতে পারে না।অতীতেও সংসদীয় প্যানেল থেকে নেপালিদের বিদেশি বাহিনীতে যোগদান বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আট বছর আগে নেপাল সুপ্রিমকোর্টের এক রায়ে বলা হয় নেপালি নাগরিকদের সিঙ্গাপুর পুলিশ বাহিনীতে যোগদান অবৈধ। কিন্তু ওই রায় কার্যকর করা হয়নি।ভারতের সাতটি গোর্খা রেজিমেন্ট, আসাম রাইফেলসসহ সেনাবাহিনীর ৪০টি ব্যাটালিয়নে ৪০ হাজারের মতো নেপালি নাগরিক কর্মরত। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতীয় গোর্খাদের ৭০ শতাংশ নেপালের নাগরিক। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর নেপাল, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এতে চারটি গোর্খা রেজিমেন্টকে ব্রিটিশ আর্মি থেকে ইন্ডিয়ান আর্মিতে যুক্ত করা হয়। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেপাল

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ