Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঝিনাইদহে ৪ মাসে ধর্ষণজনিত ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে ৩০ জনের

মোস্তফা মাজেদ, ঝিনাইদহ | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ৬:৪৫ পিএম

ঝিনাইদহে আশংকাজনক হারে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। গত চার মাসে ঝিনাইদহ জেলার ৫টি উপজেলায় ৩০ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে শৈলকূপা উপজেলায় এই চার মাসে কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অপূর্ব কুমার জানান, চার মাসে সবচে বেশি ধর্ষণজনিত ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে মহেশপুর ও ঝিনাইদহ সদর। এই দুই উপজেলায় ১৮ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হরিণাকুন্ডুতে ৪জন, কোটচাঁদপুরে ১ জন ও আদালতের নির্দেশে ৫ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আরএমও অফিসের রেজিস্টার ক্লার্ক ফেরদৌস জানান, অন্যান্য বছরে সারা বছরেও ৩০টি ডাক্তারি পরীক্ষা হয় না। অথচ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ৩ মে পর্যন্ত ৩০ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে এই চার মাসে সবচে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামে। স্থানীয় দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী গনধর্ষণের শিকার হয়। গত ২৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হলে এক ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বাকীরা এখনো পলাতক রয়েছে। পরবর্তীতে ধর্ষিত ওই ছাত্রীকে আবারো অপহরণ করা হয়। সেই মামলায় ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ