Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সামরিক বাজেট বাড়াচ্ছে পাকিস্তান কমছে ভারতে

প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:০৭ পিএম, ৭ মে, ২০১৮

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তান স¤প্রতি তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কারণ তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট সঙ্কুচিত হয়ে গেছে।
গত মাসের শেষে অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় সামরিক খাতে বরাদ্দ ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ। প্রতিরক্ষা খাতের এই বরাদ্দের পরিমাণ অনেক এবং এটা বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সাথে তাদের উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।
দুটো দেশই পারমাণবিক শক্তিধর এবং বিশেষজ্ঞরা যেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেটা হলো ইসলামাবাদের অতিরিক্ত বরাদ্দ পারমাণবিক কর্মস‚চিতে কাজে লাগানো হতে পারে। বিশেষ করে পারমাণবিক সক্ষমতাকে পানিসীমায় ব্যবহারের জন্য উন্নয়ন করা হতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবেরি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক শারাদ যোশি বলেন, “নয়াদিল্লির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। বিশেষ করে ইসলামাবাদ যখন বিশেষভাবে পারমাণবিক কর্মস‚চির দিকে নজর দিচ্ছে। বিশেষ করে জলসীমায় সক্ষমতা অর্জনের জন্য এবং পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন ক্রুজ মিসাইল বহর গড়ে তোলার জন্য তাদের যে আকাক্সক্ষা, সে কারণে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত”।
এমন সময় এই সংবাদ আসলো যখন বাজেট সঙ্কটে ভুগছে ভারতের সেনাবাহিনী। তাদের গোলাবারুদের রিজার্ভেও ঘাটতি রয়েছে এবং ঘাটতি প‚রণের জন্য যথেষ্ট অর্থও নেই। যদিও সরকার চায় যে তাদের সশস্ত্র বাহিনী একই সাথে পাকিস্তান ও চীনকে মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করুক।
একই সাথে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ চালানোর ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর এজেন্ডা রয়েছে। গণ মাসে ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ মহড়া চালিয়েছে। পাকিস্তান ও চীন উভয় দিক থেকে হুমকির বিষয়টি মাথায় রেখেই এই মহড়া চালানো হয়েছে।
দিন ও রাতে
দুই সপ্তাহব্যাপী ওই দিবা-রাত্রী মহড়া চালানো হয়েছে দুই ধাপে। প্রথম ধাপ ছিল পশ্চিম দিকে, পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর। দ্বিতীয় ধাপে মহড়া চালানো হয় উত্তরাঞ্চলে যেখানে মহড়ায় উচ্চ অক্ষাংশ এলাকাগুলোতে বিমান অবতরণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনা প্রতিরক্ষা বাহিনী ও তিব্বত ফ্রন্টকে মাথায় রেখেই ওই মহড়া চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
মাত্র এক সপ্তাহ পরেই সেনা কমান্ডাররা একত্র হয়েছিলেন দেশের ষাণ¥াসিক সম্মেলনে অংশ নিতে। মহড়ায় তারা বিদ্যমান নিরাপত্তা অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা, কীভাবে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা করা হবে, কীভাবে সম্ভাব্য প্রতিক‚লতার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হবে এবং গোলাবারুদের যে ঘাটতি রয়েছে, সেটা প‚রণের জন্য কীভাবে অর্থের সংস্থান হতে পারে, সেগুলো নিয়ে এ সময় আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের মতো ভারত আর চীনও পুরনো প্রতিদ্ব›দ্বী। ভারত তাদের প‚র্বের প্রতিবেশীর সাথে একটি যুদ্ধে হেরেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাধান্য বজায় রাখা নিয়ে লড়াই এখনও চলছে, যে এলাকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায় ভারত। আরও গুরুত্বপ‚র্ণ হলো চীন পাকিস্তানের গুরুত্বপ‚র্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক মিত্র।
গণ বছরের জুনে, ভারত ও চীন দোকলামে মুখোমুখি হয়েছিল। ১০০ বর্গকিলোমিটারের চেয়েও ছোট এই উপত্যকাটির অবস্থান ভারত, ভুটান এবং চীনের মাঝামাঝি। চীন ও ভুটানের মধ্যে এটির মালিকানা নিয়ে দ্ব›দ্ব রয়েছে।
অতি স¤প্রতি চীন পাকিস্তানের কাছে উচ্চমানের অপটিক্যাল ট্র্যাকিং এবং পরিমাপের সরঞ্জামাদি বিক্রি করেছে চীন। এর ফলে উপমহাদেশের প্রথম দেশ হিসেবে একাধিক নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড পরিবাহী মিসাইলের মালিক হয়েছে পাকিস্তান। একই সাথে মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থাও এসেছে তাদের হাতে। স‚ত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

Show all comments
  • ইয়াকুব ৮ মে, ২০১৮, ৩:২৩ এএম says : 0
    যাদের যেমন প্রয়োজন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ