পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রতিবাদ করেই যাবো না হয় মরবো। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজায় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। সীমান্ত বেড়ার পাশে সমবেত ফিলিস্তিনিদের ওপর এ সময় ইসরাইলি সেনারা সরাসরি গুলি চালায়। ছোড়ে রাবার বুলেট। এতে কমপক্ষে ১৭০ জন আহত হয়েছেন। ৬ষ্ঠ সপ্তাহের মতো কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ পর্যন্ত এ বিক্ষোভে ইসরাইলিদের গুলিতে প্রায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের হামলায় আহত ১৭০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৬৯ জনকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। এ কথা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গাজা অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবারের বিক্ষোভের সময় ফিলিস্তিনিরা সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় গাজা সিটির পূর্ব এলাকার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। তাদের ভিতর থেকে কেউ কেউ ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলতি থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। কেউবা ককটেল নিক্ষোপ করে। এভাবে সীমান্ত বেড়ার কাছাকাছি হলে ইসরাইলি সেনারা তাদের একশনে যায়। তারা প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। রাবার বুলেট ছোড়ে। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ই মে তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন এর প্রতিবাদে বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। গত ৩০ শে মার্চ গাজা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। এ বিষয়ে ইসরাইল বলছে, যখনই ফিলিস্তিনিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, সীমান্ত বেড়ার ক্ষতি করার চেষ্টা করে অথবা হামলা করে তখন তাদেরকে থামানোর জন্যই শুধু তারা প্রকাশ্যে গুলি করে। ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।