Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমান হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

মিয়ানমারের কাচিনে বেসামরিক লোকদের রক্ষায় জাতিসংঘের আহবান

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাচিন প্রদেশের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সংঘর্ষে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া কাচিন জনগোষ্ঠীকে উদ্ধারের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গত সোমবার কাচিনের মিতকিনা এলাকায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ ওই বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করে। কাচিনের মিতকিনা এলাকার মানাওয়েতে জমায়েত হয়ে শহরের বিভিন্ন অংশে প্রদক্ষিণ করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় সেনাবাহিনী-কেআইএ’র তীব্র সংঘর্ষে জঙ্গলে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও বিমান হামলা বন্ধের দাবি জানান তারা। কাচিনে সেনাবাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে অবহেলা না করতে সরকারের প্রতি আহŸান জানানো হয় বিক্ষোভ থেকে। সরকারের শ্লোগান ‘জনগণের সঙ্গে আমরা’ নীতি মানতে ও উদ্বাস্তু কাচিনদের দুর্দশা বুঝতে বিক্ষোভকারীরা কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸান জানান। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের পর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ। স¤প্রতি ওই প্রদেশে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ১০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা, বহু হতাহত এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি জানান, তিনি রিপোর্ট পেয়েছেন যে, কাচিন প্রদেশের চীন সীমান্তে বেসামরিক লোকজনের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী বোমাবর্ষণের পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণও করেছে। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাচিন প্রদেশে যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এখনই তা বন্ধ হওয়া উচিত। লি আরও বলেন, নিরপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, অনেকে আহত হয়েছেন এবং অসংখ্য পরিবার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দ্ব›েদ্বর সময় বেসামরিক নাগরিকরা অবশ্যই সহিংসতার সম্মুখীন হবে না। তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য সব পক্ষকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মঙ্গলবার জেনেভা থেকে আসা বার্তানুসারে, গত মার্চে জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে লি জানান যে, রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে সারা বিশ্বের মনোযোগের মধ্যেই কাচিনসহ অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা বাড়ছিল। রয়টার্স, ইরাবতি, এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ