Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাখাইনে ধর্ষণ হয়ে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা -মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৮, ৯:৫২ পিএম

রাখাইনে ধর্ষণের ঘটনায় কেউ জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের রাখাইন সফরের মধ্যেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

গতবছর অগাস্টে রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

গ্রামে গ্রামে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ এসেছে তাদের মুখ থেকে।

সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে এলেও মিয়ানমার তা অস্বীকার করে আসছে। দেশটির সেনাবাহিনী এবং সরকার বলে আসছে, তাদের ওই অভিযান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরাসরি দেখতে শনিবার থেকে সোমবার বাংলাদেশ সফর করেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে তাদের মুখ থেকেই তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনেন।

সোমবার বাংলাদেশ থেকে তারা মিয়ানমারের নেপিদোতে পৌঁছান এবং মঙ্গলবার মিলিটারি হেলিকপ্টারে থেকে রাখাইনের উত্তরাংশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই এলাকার অন্তত ৩৬২টি রোহিঙ্গা গ্রাম সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে সেনাবাহিনীর অভিযানে। তার মধ্যে অন্তত ৫৫টি রোহিঙ্গা গ্রামের সব স্থাপনা ও ক্ষেত-খামার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সমান করে ফেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে স্যাটেলাইট ছবি থেকে।

আকাশ থেকে রাখাইনের ধ্বংসের ক্ষত দেখার পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হলাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা।

সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবরে বলা হয়, যৌন সহিংসতাকে তারা ঘৃন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন এবং যারাই এ অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধেই সেনাবাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি কারেন পিয়ার্স রয়টার্সকে বলেন, রাখাইনে যৌন সহিংসতার অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় জেনারেল মিন অং হলাইংকে যথেষ্ট আন্তরিক বলেই মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন, ওই ধরনের অপরাধকে সেনাবাহিনী কখনোই প্রশ্রয় দেয় না।

নোবেল বিজয়ী সু চি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগ পেলে তার সরকার অবশ্যই তা তদন্ত করবে।

বৈঠকে উপস্থিত একজন কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, দীর্ঘ দিনের সামরিক শাসনের পর আইনের শাসনে ফেরার প্রক্রিয়ার মধ্যে যে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে, সে কথাও সু চি স্বীকার করে নেন।

“তিনি বলেছেন, কিছু রোহিঙ্গা গ্রামে যা ঘটেছে বা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কারও হাতে প্রমাণ থাকে, তার অবশ্যই উচিৎ তা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে জানানো, যাতে তদন্ত করা সম্ভব হয়।”



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ২ মে, ২০১৮, ৫:৫১ এএম says : 0
    ওদের কথা, কি,যে বলে।? ওই মিত্যাবাদীদের সময় পুরিয়ে আসিতেছে। ওদের জন্য জাহান্নাম অপেক্ষায়। ইনশাআল্লাহ। ************
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ