Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপহরণের পর শিশু হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৮, ৫:৩৪ পিএম

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুল ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে তাদের প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. আশরাফুল আলম জানান, উপজেলার মিরেরবাগ বালুর মাঠ এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোমবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত মো. সোহাগ খান (১১) একই এলাকার বাসিন্দা মো. ইদ্রিস খানের ছেলে ও ওরিয়েন্ট টেক্সটাইল মিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

গ্রেপ্তার ইয়াছিন মো. শাহিন (২৫) একই এলাকার বাসিন্দা।

গ্রেপ্তার শাহিনের বরাত দিয়ে এসআই আশরাফুল বলেন, শাহিন এক সময় কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন। ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা ঋণ করেন। ঋণ পরিশোধ করার জন্য পাওনাদাররা তাকে প্রায়ই চাপ দিলে সোহাগকে অপহরণ ও তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন।

এসআই আশরাফুল বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার দুপুরে শাহিন কৌশলে সোহাগকে তাদের বাসায় ডেকে এনে স্কচটেপ দিয়ে তার হাত-পা ও নাক-মুখে লাগিয়ে বেঁধে ফেলে সোহাগের বাবাকে ফোন করে অপহরণের কথা জানিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিকালের মধ্যে টাকা না দিলে এবং বিষয়টি পুলিশকে জানালে তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি।

“পরে শিশুটির পরিবার পুলিশের কাছে এসে সব খুলে বললে পুলিশ প্রযুক্তিগত মাধ্যম ব্যবহার করে শাহিনের অবস্থান শনাক্ত করে সন্ধ্যার একটু আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে শাহিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক তার ঘরের খাটের নিচ থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।”

সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এসআই আশরাফ বলেন, শাহিন মুক্তপণ না পেয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শাহিনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহিন একাই জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ