মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ। এই প্রথম কোনও মুসলিম ব্রিটেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন সম্পর্কিত সরকারি নীতি নিয়ে কেলেঙ্কারির মুখে গত রোববার রাতে পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড। গতকাল সোমবার তার জায়গায় সাজিদ জাভিদের নিয়োগ বিস্ময় তৈরি করেছে। শুধু প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতই নয়, এই প্রথম কোনও মুসলিম ব্রিটেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন।
প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীর সন্তান হয়ে সাজিদ জাভিদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হবে অভিবাসন নিয়ে ব্রিটেনের জনগণের উদ্বেগ সামলানো। সাজিদ জাভিদ সর্বশেষ ব্রিটেনের কমিউনিটি সেক্রেটারি (মন্ত্রী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্রিটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের বাবা ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান থেকে এদেশে এসে প্রথমে কাপড়ের কারখানায় শ্রমিক হন। পরে বাস চালাতেন। শুধু প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতই নয়, এই প্রথম কোনো মুসলিম ব্রিটেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীর সন্তান হয়ে সাজিদ জাভিদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হবে অভিবাসন নিয়ে ব্রিটেনের জনগণের উদ্বেগ সামলানো। তথাকথিত ‘উইন্ডরাশ’ কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্রিটেনের বর্তমান কনজারভেটিভ সরকার স¤প্রতি প্রচÐ চাপের মুখে পড়েছে।
প্রধানত ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫০ এবং ৬০ দশকে আসা অভিবাসী, যাদেরকে উইন্ডরাশ প্রজন্ম বলে অভিহিত করা হয় - তাদের অনেককে হঠাৎ করে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে ঘোষণার কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। পত্রপত্রিকায় প্রতিদিন খবর বেরুতে থাকে - এমনকী ব্রিটেনে জন্ম নিয়েও উইন্ডরাশ প্রজন্মের সন্তানদের অনেককেই হঠাৎ করে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে ঘোষণা করায় অনেকে চাকরি হারান, চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। অনেককে তাদের পিতৃপুরুষের দেশে ফিরেও যেতে হয়েছে।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে ফাঁস হয়ে পড়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা নিয়ে সরকারের গোপন টার্গেটের অন্যায় বলি হয়েছেন বহু পুরনো অনেক ক্যারিবীয় অভিবাসী এবং তাদের সন্তানরা। এ নিয়ে সরকারের ভেতরেও ক্ষোভ তৈরি হয়।
সাজিদ জাভিদ, যিনি গতকাল পর্যন্ত কম্যুনিটিজ এবং আবাসন মন্ত্রী ছিলেন, তিনিও অভিবাসন সম্পর্কিত ঐ কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। লন্ডনের দৈনিক টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, তিনি নিজেও উইন্ডরাশ প্রজন্মের সন্তান, তার বাবা-মাকেও হয়তো রাতারাতি অবৈধ হয়ে যেতে হতো।
পত্রিকায় সরকারের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করলেও তাকেই প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে অভিবাসন কেলেঙ্কারি সামলানোর দায়িত্ব দিলেন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।