শ্রমজীবীদের কপালে করোনার ঘা
করোনা মহামারি শ্রমিকের ললাটে প্রচন্ড আঘাত হেনেছে। করোনার প্রকোপ হিমালয়ের চূড়া থেকে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত
আজ পয়লা মে, মে দিবস। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতীকী দিবস। সে সংগ্রামের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উনিশ শতকের শেষ দিকে। প্রধানত ১৯৭৭ সাল থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি ও আট ঘণ্টার কর্মদিবস এবং উন্নত কাজের পরিবেশের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে। ১৮৪৪ সাল পর্যন্ত এই সংগ্রামের জেরে প্রায় ৩০০ শ্রমিক মারা যায়। ১৯৮৬ সালের ১ মে শিকাগো শহরে ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’-এর নেতৃত্বে কাজের সময়কে আট ঘণ্টায় বেঁধে দেয়ার দাবিতে ব্যাপক সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছিল। মরিয়া হয়ে এই দাবিকে নস্যাৎ করতে আমেরিকার পুঁজিপতিরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছিল লেবার পার্টিরই। সেই আন্দোলন এবং সেদিনের সেই ঐতিহাসিক জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে ১ মে দিনটিকে সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।
বিড়ম্বনা হলো, কাজের সময় বাঁধা হলেও ভারতবর্ষে কিন্তু এই সুবিধা বস্তুত সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরাই বরাবর পেয়ে আসছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত প্রায় ৯৩ শতাংশ শ্রমিকই এই সুযোগ থেকে আজও বঞ্চিত থেকে গেছে। গত কয়েক বছরে বহুবার বলা হয়েছেÑ আর্থিক উদারীকরণের ফলে শ্রমিকদের অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে, কিন্তু কার্যত তা হওয়া তো দূরের কথা, এই শ্রেণির শ্রমিকদের অবস্থা আরো দুর্বিষহ হয়েছে। আর্থিক উদারীকরণ সত্তে¡ও দেশের লাখ লাখ শ্রমিক আজও নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আজও এদের অনেককেই আট ঘণ্টার বদলে ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হচ্ছে, অথচ তারা তাদের এই বাড়তি শ্রমদানের জন্য ন্যায্য পারিশ্রমিকও পাচ্ছে না।
বলা বাহুল্য, উদারীকরণের পর থেকে দেশের কাজকর্মের স্বরূপ আমূল বদলে গেছে। আগে কোম্পানিগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে বহাল করা হতো। এতে তারা যেমন ভালো পারিশ্রমিক পেতেন, তেমনি তাদের সামাজিক নিরাপত্তার একটা নিশ্চয়তাও ছিল। কিন্তু আজ কোম্পানিগুলোতে কন্ট্রাক্ট অর্থাৎ ঠিকা হিসেবে শ্রমিক রাখার রেওয়াজ দিনে দিনে বাড়ছে। স্বভাবই এতে লেবার সাপ্লায়ারদের (পড়–ন ফড়ে আর দালালদের) প্রভাব এবং রমরমা বেড়েছে। নিয়মিত কাজ পাওয়ার আশায় শ্রমিকেরা এদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। তাদের বেছে নিতে হয়, বেশি টাকায় ব্যক্তিগত চেষ্টার মাধ্যমে কাজ খোঁজার অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নেবে নাকি কম টাকায় দালালের কেনা গোলাম হয়ে মোটামুটি নিশ্চিত কাজের সুযোগ নেবে। পরেরটার পাল্লাই ভারি। আর এতে সবচেয়ে বেশি যে অসুবিধার মুখে তাদের পড়তে হচ্ছে তা হলোÑ ঠিকাদারের হয়ে ঠিকাতে কাজ করতে গিয়ে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তাদের সরাসরি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোম্পানি মালিকদের কাছেও এই ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে অনেক ঝক্কিবিহীন। শ্রমিকদের সঙ্গে যেমন তাদের সরাসরি সম্পর্ক থাকছে না, তেমনি শ্রমিকেরাও তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নিজেদের মালিকদের কাছে দরবার করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ঠিকাদারই তাদের মালিক, তারাই তাদের ‘হুজুর মাই বাপ’। সমস্যা আরো আছে। এই ব্যবস্থার ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা শ্রম আইনের কোনো সুবিধাই ভোগ করতে পারে না। দিনের পর দিন তারা সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘মিনিমাম ওয়েজ অ্যাক্ট’-ও কার্যকরি করা হয়নি। অসংগঠিত ক্ষেত্রে সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অনুপস্থিতির কারণে সেই কর্মচারীরা বা শ্রমিকেরা একজোট হয়ে তাদের দাবি আদায়ের জন্য সেভাবে সোচ্চারও হতে পারছে না।
এরপর আছে উন্নত প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিও শ্রমবাজারের ওপর মস্ত থাবা বসিয়েছে। আগে স্থানীয় স্তরেও চামড়াশিল্প ছিল। এখন আন্তর্জাতিক ব্রান্ড তার ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। স্থানীয় স্তরে লোকজন এখন এই সব কোম্পানিতে কাজ করতে শুরু করেছে। এর ফলে কোম্পানিগুলো খুব কম খরচে শ্রম ও মাল, দুটোই পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আবার মূল্যবৃদ্ধির ফয়দাও তুলছে শ্রমিকদের বদলে সেই কোম্পানিগুলোই। এই প্রক্রিয়ায় বাজারে পুঁজির প্রবাহ বাড়লেও ছোট ছোট কলকারখানাগুলো প্রায় সবই শেষ হতে বসেছে। ইদানীং তো অটো, ফার্মা ইত্যাদির মতো বড় বড় কোম্পানিগুলো পর্যন্ত একদিকে যেমন ঠিকাতে লোক রাখছে, অন্যদিকে তেমনি স্থায়ী কর্মচারীদের ধরে ধরে বের করে দিচ্ছে। এমনটা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক-মজদুরদের ঐক্যের অভাবের জন্য। অস্থায়ীভাবে লোক নিয়োগের রেওয়াজ শুরু হওয়ার ফলে বাজারে কাজের সুযোগ হয়তো খানিকটা বেড়েছে, কিন্তু চাকরি বা কাজের নিরাপত্তার অভাবের সঙ্গে সঙ্গে কম বেতন এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার সমস্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে। যেমনÑ মুর্শিদাবাদের নির্মাণকর্মীরা একসময় স্থানীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। মাসের যে কদিন কাজ জুটত; দিয়েই তাদের সংসার চালিয়ে নিতে হতো। এখন দালাল বা ফড়িয়াদের দৌলতে তাদের কাজ জুটছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এমনকি বিদেশেও, বিশেষ করে মুসলিম দেশে।
কলকাতায় তাদের কাজ মিলছে প্রতিদিনই, কিন্তু মজুরির বাড়তি মাখনটুকু খেয়ে নিচ্ছে তাদের নিয়োগকর্তারা। ওদের ভাষায় লেবার সর্দাররা। মুর্শিদাবাদে মাসে একজন রাজমিস্ত্রির গড়ে কাজ জোটে ২০ দিন, মজুরি মেলে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। কলকাতায় তাদের মজুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। তারা সর্দারের থেকে হাতে পায় কম-বেশি ৪০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে তাদের মালিক সেই লেবার সর্দার। প্রমোটরও তার কোনো লেবারকে চেনে না, তারা চেনে সেই লেবার সর্দারকে। মজুরির টাকাও তুলে দেয় তার হাতেই। মিস্ত্রি প্রতি লেবার সর্দারের কাট-মানি থাকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তফাৎ, মুর্শিদাবাদে তাদের সারা মাসের কাজ অনিশ্চিত আর কলকাতায় তাদের মাসভর, বছরভর কাজের নিশ্চয়তা। সেই সঙ্গে উপরি রোজগারের সুযোগ।
যাই হোক, এটা কারো অজানা নয় যে, সামাজিক এবং আর্থিক বিপ্লব ঘটানোর উদ্দেশ্যেই কিন্তু সামাজিক সুবিচার, পুরুষ-মহিলা শ্রমিক, উভয়ের প্রতি সমান ব্যবহার, জীবন ধারণের উপযোগী পারিশ্রমিক এবং শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোকে সংবিধানে শামিল করা হয়েছিল। তার জন্য বেশ কিছু আইনও প্রণয়ন করা হয় এবং শ্রমিক-মজদুরদের সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও বীমার সুবিধাদি দেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। মালিকপক্ষের শোষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও বেশ কিছু ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলোÑ এসব সুবিধা-টুবিধা যা কিছু তা সবই পেয়ে আসছে সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরাই। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক-মজদুরদের স্বার্থ রক্ষার জন্য দেশে আজও প্রয়োজনীয় এবং জোরালো আইনের অভাব রয়েই গেছে। আর যে আইন খাতা-কলমে আছে কোনো অজ্ঞাত কারণে তারও ঠিকমতো প্রয়োগ হয় না বা হচ্ছে না।
ভারতের মতো একটা বিশাল সার্বভৌম দেশের কথা ভেবেই জাতীয় নীতি, শিক্ষা নীতি, পররাষ্ট্র নীতি ইত্যাদির মতো নীতিগুলো প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্ত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-মজদুরদের জন্য এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সামগ্রিক নীতি নির্ধারণ করা হয়নি। শুধুমাত্র সরকারি ক্ষেত্রের উপক্রমগুলোর সংগঠিত শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্যই দেশে নির্ধারিত বেতন মানের যা কিছু ব্যবস্থা আছে। বছর কয়েক আগে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-মজদুরদের জন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় বাজেটের অভাবে যাদের জন্য এই অ্যাক্ট, সেই মানুষগুলো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অ্যাক্টের সুবিধাদি গিয়ে পৌঁছাচ্ছে না। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং কিছু অন্যান্য সংগঠনের সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, অনেক বহুজাতিক সংস্থা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-মজদুরদের রেজিস্ট্রেশনই করতে দেয় না; আর তার ফলে তাদের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার বিস্তর সুবিধা হয়ে যায়। ভারতের মতো একটা দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের যে বিপুল সংখ্যা, তাতে সক্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন হওয়া খুবই দরকার। দেশে শ্রমিক সংগঠন বিস্তর আছে ঠিকই, কিন্তু বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেগুলোর প্রাসঙ্গিকতা কতখানি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ১৯৯০ সালের আগে পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলো যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। সে কারণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রণীত আইনের মারফতে শ্রমিক-মজদুরেরা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, বেতন মান এবং চাকরির নিরাপত্তা পেয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ দলবাজি, নির্বাচনী উদ্দেশ্যে কাজ করা এবং অক্ষম নেতৃত্বের কারণে দিনে দিনে তাদের হাতের মুঠো ক্রমশই আলগা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাও এই সংগঠনগুলোকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে বাধা স্বরূপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাহলে মোটের ওপর যেটা দাঁড়াচ্ছে তা হলোÑ ট্রেড ইউনিয়নগুলো বস্তুত শ্রমিক-মজদুরদের বিশ্বসভাজনেই অক্ষম। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলোর আরো ক্ষুরধার হওয়া দরকার, আরো বেশি সুদৃঢ় হওয়া দরকার। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠনই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। মনরেগার (মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-মজদুরদেরও গ্রামপর্যায় থেকে দেশীয়পর্যায় পর্যন্ত সংগঠন তৈরি করা দরকার। ঠিক তেমনি অসংগঠিত ক্ষেত্রেও সংগঠনের পরিকাঠামোকে আরো বেশি মজবুত করতে হবে; তা না হলে শ্রমিক আন্দোলন কার্যত বিচ্ছিন্নই হয়ে যাবে এবং শেষমেশ পুরোটাই মাঠে মারা যাবে।
১৯৯১ সালে আর্থিক উদারীকরণের নীতিসমূহ লাগু হওয়ার পর খোলা বাজারকে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু নিয়মের সংশোধন-পরিমার্জন করা হয়। লাইসেন্স-পারমিটরাজ বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়োগকর্তারা ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’-এর অধিকার পেয়ে যায়। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নানা প্রযুক্তির ব্যবহার হতে থাকে। নিত্যনতুন কলকারখানা গঁজিয়ে ওঠা, কাজকর্মের ঢং-ঢাং বদলে যাওয়া এবং নতুন নতুন স্কিলের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদির ফলে শ্রমিক-মজদুরদের কার্মিক জীবনটাও তাতে দ্রæত বদলে যেতে লাগল। এরপর ২০০১ সালে ইউনিয়নগুলোর বাড়-বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ট্রেড ইউনিয়নের আইনে কিছু রদবদল করে। উদারীকরণের পর সরকারে এসব নীতির ফলে শ্রমিক সংগঠনগুলোর আঁতে ঘা লাগল। কারণ তত দিনে দেশের লাখ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী তাদের কাজ খুঁইয়ে বসেছে।
ন্যূনতম পারিশ্রমিক কী হবে তা রাজ্যস্তরেই নির্ণীত হয়। এক এক রাজ্যের ন্যূনতম পারিশ্রমিকের মান একেক রকম। কোথাও কোথাও তাতে আছে বিস্তর ফারাক। ব্যাপক সংখ্যায় শ্রমিকদের সরে যাওয়া আর তারপর তাদের শোষণের শিকার হওয়ার এটাও একটা বড় কারণ বলে মনে করা হয়।
যে কোনো দেশের অর্থব্যবস্থার একটা বড় ভরসা হলো সেখানকার শ্রমিকেরা। বিশেষ করে সে কারণেই শ্রমিক-মজদুরদের ততটা অন্তত সম্পন্ন করে তোলা অবশ্যই দরকার, যাতে তারা তাদের ন্যূনতম প্রয়োজনটুকু মেটাতে পারে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গেই বলতে হচ্ছে, স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও তাদের জীবন-জীবিকার মানে তেমন কোনো পরিবর্তনই আসেনি।
লেখক : সাংবাদিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।