Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সঠিক পথে’ থাকতে চায় চীন

বেইজিংয়ের সাথে চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কাঠমান্ডু

| প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীন ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সঠিক পথে’ থাকতে চায়, সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে চায় এবং সম্পর্কের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোমবার এ কথা বলা হয়েছে। মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের ধারাবাহিক বৈঠকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এ মন্তব্য করেন। গত বছর দোকলামের ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য দুই দেশ তাদের মধ্যে আলোচনার গতি বাড়িয়েছে। হুয়া বলেন, চীনের সাথে ভারতের সম্পর্কের নতুন অগ্রগতি হয়েছে এবং এ বছর উভয়ের মধ্যে সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতা বেড়েছে।
হুয়া বলেন, “এ বছর দুই নেতার (চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) দিকনির্দেশনায় চীন ও ভারতের সম্পর্ক একটা গতি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “চীন ভারতের সাথে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় এবং আমাদের নেতারা যেসব বিষয়ে একমত হবেন, সেগুলো বিষয়ে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই, আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঠিক পথে থাকতে চাই, আরও বেশি ইতিবাচক মনোভাব আশা করি, সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্রে উন্মোচন করতে চাই এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্থ ও গতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।”
হুয়া বলেন, “আমরা সকল পর্যায়েই বিনিময় দেখতে পাচ্ছি এবং সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে নতুন অগ্রগতি লক্ষ্য করছি।” ১৩ এপ্রিল ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল অজিত দোভাল এবং চীনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের ডিরেক্টর এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) সদস্য ইয়াং জিয়েশি সাংহাইয়ে বৈঠক করেন। মুখপাত্র বলেন, ইয়াং এবং দোভালের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও দুই দেশ সফলভাবে ১১তম যৌথ ইকোনমিক গ্রুপের বৈঠক এবং স্ট্র্যাটেজিক ইকোনমিক ডায়ালগও (এসইডি) আয়োজন করেছে। হুয়া বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ও ক্রস-বর্ডার নদীগুলোর ব্যাপারে ওয়ার্কিং ম্যাকানিজমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এসব বৈঠকে দেখা গেছে, চীন ও ভারতের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই একই স্বার্থ রয়েছে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২৪ এপ্রিল চীন সফরে যাবেন। সেখানে সাংহাই কো-অপারেশান অর্গানাইজেশানের (এসসিও) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও চীন সফরে যাবেন আগামী জুনে। চীনের কিংদাও শহরে অনুষ্ঠেয় এসসিও সম্মেলনে অংশ নিতে সেখানে যাবেন তিনি।
চীনের সাথে চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে নেপাল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিওয়ালি বলেছেন, নেপাল ও চীন যেসব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে, সেগুলো বাস্তবায়নে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত সোমবার পাঁচ দিনের সফরে চীন রওনা হওয়ার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি মিডিয়াকে বলেন, নেপাল ও চীন যেসব দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে উপনীত হয়েছে, নেপাল সেগুলো দ্রæত বাস্তবায়নে কাজ করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তার সরকার চীনা প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতাধীন বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পসহ মহাসড়ক, রেললাইন, আন্তঃদেশীয় ট্রান্সমিশন লাইনসহ বেশ কিছু কানেকিটিভি প্রকল্প নির্মাণ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীনের সাথে আমাদের সহযোগিতা গভীর করাকে আমরা অত্যন্ত অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, দুই পক্ষ অতীতে বিভিন্ন সময়ে করা দুই সরকারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাগুলোও পর্যালোচনা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি চীনা নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে তার সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলো তাদেরকে অবহিত করবেন। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ