মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যৌন সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। ‘বিশ্বাসযোগ্য সন্দেহের’ কারণে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকেও একই তালিকায় আনা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলো। এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তার একটি আগাম কপি চলে এসেছে বার্তা সংস্থা এপি’র হাতে। তাতে বলা হয়েছে, নৃশংস যৌন নির্যাতনের শারীরিক ও মানসিক ক্ষত নিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা নারী। এ বিষয়টি প্রামাণ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেডিকেল স্টাফ ও অন্যরা। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুঁতেরা বলেছেন, এসব অপরাধ ঘটিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। স্থানীয় উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে অপারেশন ক্লিয়ারেন্স চালানোর সময় সেনাবাহিনী এই নৃশংসতা চালিয়েছে ২০১৬ সালের অক্টোবরে এবং ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডন। এতে বলা হয়, অ্যান্তনিও গুঁতেরা বলেছেন, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশছাড়া হতে বাধ্য করতে এবং দেশে ফেরত যাওয়া বন্ধ করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ব্যাপক হুমকি ও যৌন সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। তারা সমন্বিতভাবে এ সহিংসতার আশ্রুয নিয়েছে। মানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। রোহিঙ্গাদেরকে উগ্র করে তুলেছে। অফর এক খবরে বলা হয়, হামলা-নির্যাতনের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে আসা সাত লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে অসংখ্য নারী মিয়ানমারের সেনাসদস্যদের হাতে বর্বর যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের নতুন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, ২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্ট সময়কারে রাখাইনের যে ‘জাতিগত নিধন’ চালানো হয়েছে, সে সময়কার যৌন নিপীড়িনের ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের স্থানীয় সশস্ত্র সমর্থকরাও যোগ দেয়। ‘যৌন নিপীড়ন করা এবং এর জন্য চূড়ান্ত ভীতি প্রদর্শন দুটোই অবিচ্ছেদ্য। রোহিঙ্গাদের ওপর এই সন্ত্রাস চালানো হয়েছে মূলত তাদের নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য এবং পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবসান ঠেকানোর জন্যও,’ যোগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। শুদ্ধি অভিযানের নামে রাখাইন রাজ্যে মূলত জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘সেইসব নারী সহিংসতার শিকার হয়েছেন বা গর্ভবতী হয়েছেন, যাঁরা জাতিগত পরিচয় বহন করেন। এই জাতিগত পরিচয়ের উত্তরাধিকার বহন করবে যারা, সেসব শিশুর ওপরও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে।’ এরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এপি, ডন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।