Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ঠেকাতে তৎপর হলেও সফলতা নিয়ে সংশয়ে ফেসবুক

মার্কিন পার্লামেন্টে জেরার মুখে জাকারবার্গের দায় স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফেসবুককে অস্ত্র বানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে আবারও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন ওই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ ঠেকানোকে সবথেকে অগ্রাধিকার বিবেচনা করছে। তবে নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ঠেকাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ী জাকারবার্গ নিজেই। গত মঙ্গলবার মার্কিন পার্লামেন্টের ডাকে সাড়া দিয়ে উচ্চকক্ষের ৪৪ আইনপ্রণেতার মুখোমুখি হল ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ। বিপুল পরিমাণ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরির ঘটনায় তাকে সিনেটে তলব করা হয়েছিল। সেখানে দীর্ঘ সময় ধরে আইন প্রণেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তথ্য ফাঁসের ঘটনার দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের প্রসঙ্গ উঠে আসে সিনেটের শুনানিতে। ওই প্রভাব বিস্তারের কাজে ফেসবুককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রসঙ্গও তোলেন সিনেটররা। জাকারবার্গ সে সময় জানান, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক রবার্ট মুলার ফেসবুক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি নিজেচ ছিলেন না বলে জানান জাকারবার্গ। বলেন, ‘বিশেষ পরামর্শকের সঙ্গে আমাদের কাজ গোপনীয় এবং আমি এই প্রকাশ্য সমাবেশে এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমি ওই গোপনীয় ব্যাপারটি এখানে প্রকাশ করব না।’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে গত ফেব্রæয়ারিতে তদন্তকারী রবার্ট মুলারের কার্যালয় ১৩ রুশ নাগরিককে অভিযুক্ত করেন। অভিযুক্ত রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান হলো ‘ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি’ যারা ‘রাশিয়ান ট্রল ফার্ম’ নামে পরিচিত। অভিযোগে বলা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টির কৌশলগত লক্ষ্য ছিল। নিউ মেক্সিকো অঞ্চলের একজন সিনেটরের করা প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ বলেন, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে যেসব দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোতে যেন বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করাই আপাতত তাদের প্রধান লক্ষ্য। সে সময় একজন সিনেটর একটি বিলবোর্ডের ইমেজ উপস্থাপন করেন, যেখানে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে রাশিয়া কর্তৃক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন আর কনফেডারেট পতাকা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার চিত্র দেখানো হয়। সিনেটর জানতে চান, ফেসবুকের পক্ষ থেকে এমন কিছু নতুন করে ছড়িয়ে না পড়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা। সিএনএন, রয়টার্স, এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচনে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ