Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের বিচার ব্যবস্থা দলিতদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

২ এপ্রিল সারা ভারতের দলিতরা একাত্ব হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি-‘ভারত বনধ’ পালন করেছে। শিডিউলড কাস্টস অ্যান্ড শিডিউলড ট্রাইবস (প্রিভেনশান অব অ্যাট্রোসিটিজ) অ্যাক্টে যতটুকু বা শক্তি ছিল, ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে সেটুকু কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ১৯৮৯ সালে পার্লামেন্টে যখন আইনটি পাশ হয়েছিল, তখন সাহসী আইন হিসেবে এর প্রশংসা করা হয়েছিল, যেখানে দলিতদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু একজন সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তার (যিনি নিজেই বোম্বে হাই কোর্ট থেকে অন্তর্র্বতীকালীণ জামিনে রয়েছেন) একটি মাত্র আপিলের কারণে আদালত ওই আইনের সাথে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। শর্তটি হলো এই আইনের অধীনে কাউকে গ্রেফতার করার আগে সে সরকারী কর্মকর্তা হলে তার নিয়োগকারী অফিসের এবং সে সাধারণ নাগরিক হলে পুলিশের ডিএসপির অনুমতি নিতে হবে।
বিচারে যে সব টেকনিক্যাল বিতর্কের কথা উঠেছে, সেগুলোর কথা বাদ দিলেও মামলায় দেখা গেছে মহারাষ্ট্রের কারাদ শহরের ফার্মাসি কলেজের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই এখানে অভিযোগ আনা হয়নি। আপিলকারীর বিরুদ্ধেও সামান্যতম অবিচার করা হয়নি। অন্যদিকে, দলিত চাকুরে যিনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তা তার অভিযোগের যেটুকুই ভিত্তি থাক না কেন, তিনি এখান থেকে কিছুই পাননি। আপিল নিয়ে বিবেচনা করা বাদ দিয়ে আদালত অ্যাট্রোসিটি অ্যাক্টের অপব্যবহারের দিকে নজর দিয়েছে এবং সেখানে শর্ত আরোপ করেছে। এতে করে ভুক্তভোগীদের জন্য এই আইন থেকে উপকার পাওয়া আরও কঠিন হয়ে গেলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ